নিউ ইর্য়ক থেকে লন্ডন, আন্দোলনের একমাস
এক মাসে আগে নিউ ইর্য়কে শুরু হওয়া ছোট্ট একটা বিক্ষোভ আজ বিশ্বব্যাপি আন্দোলন। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। মহামন্দা পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে মানুষ একই ধরনের সমস্যার শিকার।
এক মাসে আগে নিউ ইর্য়কে শুরু হওয়া ছোট্ট একটা বিক্ষোভ আজ বিশ্বব্যাপি আন্দোলন। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। মহামন্দা পরবর্তী সময়ে
বিশ্বজুড়ে মানুষ একই ধরনের সমস্যার শিকার। সেই কারণেই আন্দোলন এত দ্রুত ছড়িয়েছে বলে মনে করেন বিক্ষোভকারীরা। কোথাও শান্তিপূর্ণ অবস্থান, কোথাও বিক্ষোভ,
কোথাও ধর্মঘট। প্রতিবাদের ভাষা অন্য হলেও, সব জায়গাতেই আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মানুষ।
নিউ ইর্য়কের ম্যানহাটানের জুকোটি পার্ক। গত সতেরোই সেপ্টেম্বর এখানেই একটা ছোট জমায়েতে দেশের বৃহত্ আর্থিক সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু
করেছিলেন মার্কিনিরা। একমাসের মাথায় সেই আন্দোলন শুধু আমেরিকাতেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। জুকোটি পার্কে রীতিমত শিবির তৈরি করে অবস্থান করছেন
আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে বিশ্বজুড়ে একই ধরণের আর্থিক বৈষম্যের শিকার সাধারণ মানুষ। সেই জন্যই নিউ ইর্যকের বিক্ষোভের আঁচ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। নিউ
ইর্য়কের এক আন্দোলনকারী বলেছেন, আমরা ভাবিনি আন্দোলন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। তবে বিশ্বজুড়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা আমাদের জন্য নয়। প্রত্যেকটি দেশেরই
নিজস্ব সমস্যা আছে। তাই আর্থিক বৈষম্যের প্রতিবাদে সকলেই পথে নেমেছেন।
সদ্য ইরান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন তিন মার্কিন অভিযাত্রী। ক্যালিফোর্নিয়ার বিক্ষোভ মঞ্চে তারা সামিল হয়েছিল আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে। বিশ্বের
আশিটিরও বেশি দেশে এখন আন্দোলন চলছে। চারদিন ধরে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে অবস্থান করছেন বিক্ষোভকারীরা। অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের ধাঁচে তারাও
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ দখলের ডাক দিয়েছেন। বৈষম্য তো বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরে সামান্য সংখ্যক মানুষের হাতে প্রচুর অর্থ এসেছে যার জেরে আমজনতা প্রায়
পথে বসেছেন, বলে অভিযোগ করেছেন এক অবস্থানকারী।
ইউরোপ, লাতিল আমেরিকা, বা এশিয়া, বিক্ষোভ চলছে সর্বত্র। সরকারি ব্যয়সঙ্কোচন নীতির প্রতিবাদে আটচল্লিশ ঘন্টার ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল গ্রিস। মহামন্দার পর
গত তিন বছরে সরকারি অর্থসাহায্য কাজে লাগিয়ে আর্থিক সংস্থাগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কিন্তু মুল্যবৃদ্ধি, বেকার সমস্যার পাশাপাশি সরকারি ব্যয়সঙ্কোচন নীতির জেরে
নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। সাম্প্রতিক মার্কিন ঋণসঙ্কট এবং ইউরোজোনে সঙ্কট মানুষের আতঙ্ক বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। জার্মান অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনই
ইউরোজোনের সঙ্কট মোকাবিলায় কোনও সমাধানসুত্র মেলেনি। এরপরই ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। আসন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কটের আতঙ্কের মাঝেই আরও জোরদার হয়েছে
আমজনতার আন্দোলন।