মোবাইল ব্যবহার করতেন ওসামা?
ব্যক্তিগত জীবনে ওসামা বিন লাদেন খুব সাবধানি ছিলেন। ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল তো দুরস্ত, গোপনীয়তা বজায় রাখতে টেলিফোন পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না আলকায়দা সুপ্রিমো। বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ছিল দূত। লাদেনের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই দূত হিসেবে কাজ করতেন। দূত মারফতই সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এমনকি কোনও নির্দেশ পাঠানোর ক্ষেত্রেও ওসামার ভরসা ছিল দূত। অন্যের বার্তাও লাদেনের কাছে পৌঁছত সেই দুত মারফতই। এতদিন এ ধারণাই ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। ২০১১-র ২ মে ভোররাতে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি কম্যাণ্ডোদের গোপন অভিযানে মৃত্যু হয় আলকায়দা প্রধানের। তারপর থেকে ওসামার গোপন ডেরায় তল্লাসি চলে মার্কিন এবং পাক গোয়েন্দাদের। তখনই জানা গিয়েছিল, লাদেনের বাড়িতে কোনও ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল সংযোগ ছিল না। ছিল না যোগাযোগের অত্যাধুনিক অন্য কোনও মাধ্যম। বরং টিভি এবং ভিডিও দেখেই স্বপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে সময় কাটাতেন লাদেন।
ওসামা বিন লাদেন কি টেলিফোন কিম্বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন? মার্কিন গোয়েন্দাদের মত ছিল, করতেন না। কিন্তু সেই ধারণাকে বদলে দিয়েছে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে, লাদেনের গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া একটি টেলিফোন। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, সেই টেলিফোনে কথপোকথনও হয়েছে একাধিকবার।
ব্যক্তিগত জীবনে ওসামা বিন লাদেন খুব সাবধানি ছিলেন। ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল তো দুরস্ত, গোপনীয়তা বজায় রাখতে টেলিফোন পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না আলকায়দা সুপ্রিমো। বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ছিল দূত। লাদেনের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই দূত হিসেবে কাজ করতেন। দূত মারফতই সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এমনকি কোনও নির্দেশ পাঠানোর ক্ষেত্রেও ওসামার ভরসা ছিল দূত। অন্যের বার্তাও লাদেনের কাছে পৌঁছত সেই দুত মারফতই। এতদিন এ ধারণাই ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। ২০১১-র ২ মে ভোররাতে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি কম্যাণ্ডোদের গোপন অভিযানে মৃত্যু হয় আলকায়দা প্রধানের। তারপর থেকে ওসামার গোপন ডেরায় তল্লাসি চলে মার্কিন এবং পাক গোয়েন্দাদের। তখনই জানা গিয়েছিল, লাদেনের বাড়িতে কোনও ইন্টারনেট কিম্বা মোবাইল সংযোগ ছিল না। ছিল না যোগাযোগের অত্যাধুনিক অন্য কোনও মাধ্যম। বরং টিভি এবং ভিডিও দেখেই স্বপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে সময় কাটাতেন লাদেন।
অথচ আলকায়দা প্রধানের জীবনযাত্রা সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দাদের সেই ধারণাটাকে বদলে দিয়েছে একটি টেলিফোন। সম্প্রতি সেটি অ্যাবোটাবাদে, লাদেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি কনফারেন্সে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য পেশ করেন সেদেশের ফিনানশিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের প্রধান জেনিফার শেসকি ক্যালভেরি। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে ওই নম্বরটি সক্রিয় ছিল। অর্থাত্ সেই নম্বরে ফোন আসত এবং যেত। তার থেকেই এফবিআইয়ের সন্দেহ হয়। তবে ওই নম্বরের অস্তিত্ব এতদিন পাওয়া যাচ্ছিল না। এতদিন পর লাদেনের বাসভবন চত্বর থেকে উদ্ধার হওয়া টেলিফোনের নম্বর, এফবিআইয়ের কাছে থাকা সন্দেহজনক ফোন নম্বরের তালিকার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দারা এখন নিশ্চিত, ওসামা বিন লাদেনও ফোন ব্যবহার করতেন।