পাখি নিয়েও রাজনীতি পাকিস্তানের! শেখদের লুপ্তপ্রায় ‘হাওবারা’ শিকারের অনুমতি

টাকার বিনিময় পাকিস্তানে শিকার নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের জাতীয় পশু মার্খোর। সেই মার্খোরের শিকারও পাকিস্তানে হয়। টাকার বিনিময়ে।    

Updated By: Dec 17, 2020, 11:53 PM IST
পাখি নিয়েও রাজনীতি পাকিস্তানের! শেখদের লুপ্তপ্রায় ‘হাওবারা’ শিকারের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদন- পাখি নিয়েও কুটনীতি করার সুযোগ ছাড়ছে না পাকিস্তান। সারা বিশ্বে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি লুপ্তপ্রায়। তবুও এই প্রজাতির পাখি শিকারের অনুমতি দিল ইমরান খানের সরকার। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের সরকারকে। প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানের উদাসীনতা বহুদিনের। এমনকী বহুবার পাকিস্তানের সরকার শিকারীদের পুরস্কার দিয়েও প্রাণী হত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। আরও একবার লুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি শিকারের অনুমতি দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিল তারা।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি শিকারের বিশেষ অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। আইইউসিএন এই প্রজাতির পাখিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে রেখেছে। চোরাশিকারের কারণে এই প্রজাতির পাখির সংখ্যা সারা বিশ্বে কমেছে অনেকটাই। অবস্থা এমনই যে এখন হাওবারা প্রজাতির পাখি প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। এমনকী পাকিস্তানেও এই পাখি শিকারে নিষেধজ্ঞা জারি হয়েছে। তার পরও কী করে পাক সরকার কাতারর শেখ পরিবারকে এই পাখি শিকারের অনুমতি দেয়! এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন-  শহর দখলের সঙ্কল্প নিয়ে ঝাঁপাল স্বপ্নের অভিযানে; তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই Animals!

তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতার। আর তাই সেই দেশের শেখ পরিবারকে যেভাবেই হোক সন্তুষ্ট রাখতে চায় পাকিস্তান। যাতে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বাধা না আসে। তাই যে কোনও মূল্যে ইমরান খানের সরকার কাতারের শেখ পরিবারকে তুষ্ট করতে চান। যদিও টাকার বিনিময় পাকিস্তানে শিকার নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের জাতীয় পশু মার্খোর। সেই মার্খোরের শিকারও পাকিস্তানে হয়। টাকার বিনিময়ে।    

.