আগে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান, পরে আলোচনা, জিনপিংকে জানালেন মোদী

তাই বিশকেকে এই শীর্ষ সম্মেলনে মোদী ও ইমরান দু’জনেই উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, দু’জনের একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

Updated By: Jun 14, 2019, 12:16 PM IST
আগে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান, পরে আলোচনা, জিনপিংকে জানালেন মোদী
চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর মুখোমুখী নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ১৩ জুন ও ১৪ জুনের বৈঠকে যোগ দিতে এখন কিরঘিজস্থানের রাজধানী শহর বিশকেক-এ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত ছাড়াও এসসিও-র সদস্য দেশগুলি হল, রাশিয়া, চিন, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাকস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। বিশেকেক-এ এই সব দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত রয়েছেন। আর এখানেই একটি একান্ত বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কড়া পদক্ষেপ না করলে কোনও ভাবেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করা যাবে না, জিনপিংকে সাফ জানিয়ে দিলেন মোদী।

বিশকেকের এসসিও-এর শীর্ষ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার জিনপিং-এর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা নিয়ে দিল্লির মতামত স্পষ্ট করেন নরেন্দ্র মোদী। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান সরকার। ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, নয়াদিল্লি আশা করছে, খুব শীঘ্রই ইসলামাবাদ এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের উপর এমনিতেই আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তার উপর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আপোসহীন মনোভাব নিয়েছে ভারত। এই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান বদলে সায় দেয় বেজিংও। ফলে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে পাকিস্তান এখন এক রকম কোণঠাসা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসা পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আরও পড়ুন: আমেঠিতে অস্ত্র কারখানার জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ মোদীর, দেখুন ভিডিয়ো

ক’দিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহেমুদ কুরেশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আবেদন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও সদ্যনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখেন। মনে করা হচ্ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতেই চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংকে পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মোদী। তাই বিশকেকে এই শীর্ষ সম্মেলনে মোদী ও ইমরান দু’জনেই উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, দু’জনের একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে।

.