পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিল
টানা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিল। বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০। পূর্ব পাঞ্জাবেই মৃত্যু হয়েছে ৬১জনের। যার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুও। ভেঙে পড়েছে প্রচুর ঘর-বাড়ি। পাকিস্তানের বেশকিছু শহরও এই মূহুর্তে জলমগ্ন। বন্যা দুর্গতদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে ত্রান সামগ্রী।
ওয়েব ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিল। বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০। পূর্ব পাঞ্জাবেই মৃত্যু হয়েছে ৬১জনের। যার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুও। ভেঙে পড়েছে প্রচুর ঘর-বাড়ি। পাকিস্তানের বেশকিছু শহরও এই মূহুর্তে জলমগ্ন। বন্যা দুর্গতদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে ত্রান সামগ্রী।
আটকে পড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার কাজে লাগানো হয়েছে। আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আবহাওয়া দফতর আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
পাঞ্জাব প্রদেশের প্রবল বর্ষণ শুরু হয় রবিবার থেকে। এরপরেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যায় মৃত মানুষদের বেশিরভাগের মৃত্যুর কারণ বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়া।
লাহোরে মারা গিয়েছেন ১৫ জন। লাহোরের বেশিরভাগ রাস্তাই এখন জলের তলায়। সরকারী ত্রানের কোনও চিহ্ন নেই। বাড়িতে জল ঢুকে থাকার জায়গায় নেই, তাই বেশ পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটা সংসার এখন আশ্রয় নিয়েছে জলে ভাসমান গাড়িতে। আর সেই গাড়ির ওপর চলছে রান্নাবান্না।
ফয়সালাবাদে ছাদ ভেঙে পড়ে মারা গিয়েছেন তিনজন, গুরুতর আহত ১৬। মুজফরাবাদে সাত বছরের একটি বালিকা জলে ডুবে মারা গিয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারী করে জানিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাবের সব নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।