India-Bangladesh Travel: কমেছে করোনা, এবার খুলছে ভারত-বাংলাদেশ সড়কপথ
এতদিন শুধুমাত্র আকাশপথেই যাতায়াতের অনুমতি ছিল।
সেলিম রেজা, বাংলাদেশ: ২ বছরের অপেক্ষার অবসান। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এবার টুরিস্ট ভিসায় সড়কপথেও যাতায়াত করা যাবে। এমনকী, দু'দেশের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি রেল যোগাযোগও চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ কার্যত শেষ। ওমিক্রনের আতঙ্ক কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরেছে জনজীবনে। তবে, টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইলে, এতদিন কিন্তু শুধুমাত্র আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি ছিল পর্যটকদের। এবার যাতায়াত করা যাবে সড়কপথেও।
আরও পড়ুন: Imran Khan: বলেছিলাম বদল আনব, পারিনি; পাকিস্তান নিয়ে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার ইমরান খানের
সড়কপথে কীভাবে যাতায়াত? চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা স্রেফ ভ্রমণের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। টুরিস্ট ভিসায় বছরে যাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখের কাছাকাছি। যাত্রীদের কাছ থেকে ভিসা ফি-বাবদ ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে ভারতীয় দূতাবাস। আর ভ্রমণ কর-বাবদ বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের তালিকায় প্রথম ১০-এ Mukesh Ambani! দেখে নিন আর কে রয়েছেন তালিকায়?
বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা পাওয়ার জন্য ৮৪০ টাকা দিতে হয় ভারতীয় দূতাবাসকে। আর ভিসা ফি-বাবদ ৮২৫ টাকা নেয় বাংলাদেশ দূতাবাসও। আবার সীমানা অতিক্রমের সময় ১২ বছরের উর্ধ্বে ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০০ টাকা টাকা নেয় বাংলাদেশ সরকার। ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য দিতে হয় ২৫০ টাকা। ৫ বছরের শিশুদের জন্য অবশ্য ভ্রমণ কর লাগে না।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মুখে Putin-র দুই কন্যা! আনুমোদন দেবে EU?
স্রেফ সড়কপপথে যাতায়াতই নয়, ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলও বন্ধ। মার্চের শেষের দিকেই ফের মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি ও ঢাকা। কিন্তু আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল। ২৬ মার্চের বদলে এপ্রিল অথবা ১৪ এপ্রিল থেকে চলবে মৈত্রী রেল। ফলে বিমানের টিকিট কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল যাত্রীদের। এমনকী, অনেকে ভারতে যেতেও পারছিলেন না। সড়কপথে যাতায়াত শুরু হলে উপকৃত হবেন তাঁরা।