সন্ত্রাসের অভিশাপের দগদগে ক্ষত বুকে চেপে রেখেই খুলল পেশোয়ারের সেনা স্কুল
কেটে গেছে প্রায় ১ মাস। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর নৃশংস তালিবানি হত্যালীলার সাক্ষী থাকতে বাধ্য হয়েছিল পেশোয়ারের সেনা স্কুল। জঙ্গি হামলা প্রাণ কেড়েছিল ১৫০টি শিশুর। আজও দগদগে সেই ক্ষত। আজও হৃদয় চুঁইয়ে অব্যাহত রক্তক্ষরণ। যে ক্লাসরুমগুলো একসময় মেতে থাকত কচিকাঁচার নিরলস বকবকানিতে আজ সেখানে শুধুই নিঃশব্দতা। টেবিল, বেঞ্চ, ঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে গুমরোচ্ছে অসহায় কান্না, আর্তনাদ। সেই দিনের পর থেকে শুধু সেনা স্কুল নয়, বন্ধ ছিল পেশোয়ারের সব স্কুলই। সোমবার, খাইবার পাকতুনখাওয়া সরকার অবশেষে স্কুল গুলির বন্ধ দরজা খোলার অনুমতি দিলেন।
পেশোয়ার: কেটে গেছে প্রায় ১ মাস। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর নৃশংস তালিবানি হত্যালীলার সাক্ষী থাকতে বাধ্য হয়েছিল পেশোয়ারের সেনা স্কুল। জঙ্গি হামলা প্রাণ কেড়েছিল ১৫০টি শিশুর। আজও দগদগে সেই ক্ষত। আজও হৃদয় চুঁইয়ে অব্যাহত রক্তক্ষরণ। যে ক্লাসরুমগুলো একসময় মেতে থাকত কচিকাঁচার নিরলস বকবকানিতে আজ সেখানে শুধুই নিঃশব্দতা। টেবিল, বেঞ্চ, ঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে গুমরোচ্ছে অসহায় কান্না, আর্তনাদ। সেই দিনের পর থেকে শুধু সেনা স্কুল নয়, বন্ধ ছিল পেশোয়ারের সব স্কুলই। সোমবার, খাইবার পাকতুনখাওয়া সরকার অবশেষে স্কুল গুলির বন্ধ দরজা খোলার অনুমতি দিলেন।
তবে, স্কুল খুলতে গেলে কর্তৃপক্ষগুলিকে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মানতে হবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী। স্কুলগুলিতে থাকতে হবে সিসিটিভি। স্কুল চত্বর ঘিরে থাকতে হবে উঁচু পাঁচিল। নিরাপত্তাজনিত নির্দেশ না মানলে মিলবে না স্কুল খোলার অনুমতি।
রক্তবৃষ্টির দুঃসহ স্মৃতি বুকে নিয়ে আজ খুলল সেনা স্কুলের দরজাও।
খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার সূত্রে খবর, স্কুলগুলিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ মোবাইল ফোন সরবারহ করা হয়েছে। এই ফোনগুলিতে বিশেষ একটি বোতাম টিপলে, সরাসরি খবর পৌঁছে যাবে পুলিসের কাছে।
সেনা স্কুলটিকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢেকে দিলেও অবশিষ্ট পড়ুয়ারা ফের স্কুলে ফিরে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত, এখনও ১৬ ডিসেম্বরের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের শিশুমন। এখনও তাদের স্মৃতিতে টাটকা সেই দিন তালিবান জঙ্গিদের নির্মম তাণ্ডবের ছবি। কেউ কেউ আহত হলেও কোনও রকমে প্রাণে রক্ষা পায়। কিন্তু এখনও চোখের সামনে এখনও ভাসছে বন্ধুদের রক্তাক্ত মৃতদেহগুলো। তারা স্কুলে যাবে, কিন্তু পাশে থাকবে না বেশিরভাগ সহপাঠী, বন্ধুরা। এই চরম সত্যিটা হজম করতে বোধহয় আরও বেশ কিছুদিন লেগে যাবে ওই ছোট্ট মনগুলোর।
সেই দিনের ঘটনায় দু'পায়েই গুলি লেগেছিল ১৬ বছরের শাহরুখ খানের। তালিবানি বন্দুকবাজদের হাত থেকে প্রাণটুকু বাঁচাতে জন্য অসহ্য যন্ত্রণা চেপে রেখে মরার মত পড়েছিল সে। শাহরুখও আজ স্কুলে ফিরছে। এখনও আতঙ্কিত এই কিশোর সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে ''আমার ৩০জন বন্ধুকে হারিয়েছি আমি। আমাকে এবার ফাঁকা ক্লাসরুমে বসতে হবে। জানি না কীভাবে ফাঁকা বেঞ্চগুলোর দিকে তাকাবো। আমার বন্ধুরা আজ আর নেই। স্কুলে ফিরতে ইচ্ছা করছে না।''