Putin Xi Meet: এবার মুখোমুখি জি জিনপিং ও পুতিন! বিশ্বে নতুন কোন বিপদ ঘনিয়ে আসছে...
চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শোনা গিয়েছে। দুই হেভিওয়েট শক্তির আসন্ন এই মোলাকাত নিয়ে তাই নানা জল্পনা, নানা অনুমান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এমনিতেই গোটা বিশ্বের আবহাওয়া তেতে আছে। এই যুদ্ধের সূত্রে পরিস্থিতি-অনুযায়ী দেশগুলির মধ্যে নয়া নতুন সমীকরণও রচিত হয়েছে। সকলেই সকলকে আড়চোখে দেখে। বুঝে নিতে চায়, কে কোন দিকে, কার কত শক্তি। আর তেমন এক সন্দিগ্ধ পরিবেশেই আগামী মাসে যখন মুখোমুখি বসতে চলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তখন বিশ্ব-রাজনীতি কৌতূহলপ্রবণ না হয়ে পারে না। ফলে এখন থেকেই দুই হেভিওয়েট শক্তির আসন্ন এই মোলাকাত নিয়ে নানা জল্পনা, নানা অনুমান। চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে বৈঠকে বসতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শোনা গিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ১৫ সেপ্টেম্বর বৈঠক ঘিরে চিনের প্রেসিডেন্টের সফর-প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তাঁর কার্যালয়ের সূত্রে এমন ইঙ্গিতও মিলেছে যে, বৈঠকে সরাসরি হাজির থাকতে পারেন জি জিনপিং। যেখানে ঘটনাচক্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টেরও উপস্থিত থাকার কথা।
আরও পড়ুন: Bhutan Economic Crisis: পিঠে ব্যাগ বেঁধে আপনি ভুটানে গিয়ে পা না রাখলে হয়তো বাঁচবে না দেশটি...
এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে চিনের সরকারি কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, মোটামুটি স্থিরীকৃত এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। জি জিনপিং শেষ পর্যন্ত হয়তো মুখোমুখি না বসে ভার্চ্যুয়ালিও বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে দেশের বাইরে কোথাও যাননি। এদিকে, একটি রুশ সংবাদ সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের এই সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন পুতিন।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন তথা এসসিও-র সম্মেলন ছাড়াও আগামী নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন পুতিন ও জি জিনপিং। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ভার্চ্যুয়ালি ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এমন ভেরি ভেরি হাই ভোল্টেজ বৈঠকের আয়োজন কোথাও হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না।
বিশ্ব জুড়ে উত্তেজনাময় আবহে সমরখন্দ ও বালির সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের মুখোমুখি বসে আলোচনার যে সুযোগ তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কিত ও আশাবাদী নানা পক্ষ। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা ও তাইওয়ান ঘিরে চিনের মহড়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান-সফর ঘিরে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও উত্তেজনা বেড়েছে। এই রকম নানা ছোট-বড় সংঘাত-সংকটময় পরিস্থিতিতে জি জিনপিং ও পুতিন মুখোমুখি বসে আগামী বিশ্বের জন্য কী পরিকল্পনা করবেন? ভয়ংকর কিছু? শান্তির বার্তাবহ কিছু? নাকি আরও ভয়ংকর কোনও যুদ্ধ-পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্ব? কে বলবে? এখন অপেক্ষাই সার!