Russia: দেশে কমছে জনসংখ্যা, ১০ সন্তান ধারণের জন্য টাকা দেবেন পুতিন
ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী সত্যিই রাশিয়ার জনসংখ্যাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক দৈনিক করোনভাইরাস কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৫০,০০০ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ফের সক্রিয় হয়েছেন। দেশের জনসংখ্যার সংকট কাটাতে সচেষ্ট হয়েছেন তিনি। কোভিড -১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জনসংখ্যার সংকট দেখা দিয়েছে রাশিয়ায়। সেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দশ অথবা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য দেশের মহিলাদের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সেই কাজের জন্য তাদেরকে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন পুতিন। দশটি শিশুর জন্ম দিতে এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদেরকে ১৩,৫০০ পাউন্ডের পেমেন্ট দেওয়ার এই উদ্যোগটিকে বিশেষজ্ঞরা সংকট কাটানোর মরিয়া প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করছেন।
রাশিয়ার রাজনীতি এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেনি ম্যাথার্স, মাদার হিরোইন নামে পরিচিত নতুন রাশিয়ান পুরষ্কার প্রকল্প সম্পর্কে জানিয়েছেন, যে এটি পুতিন কমতে থাকা জনসংখ্যাকে বৃদ্ধি করার একটি ব্যবস্থা হিসাবে ঘোষণা করেছেন।
এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক দৈনিক করোনভাইরাস কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এর পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৫০,০০০ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন যে যাদের বড় পরিবার আছে তারা বেশি দেশপ্রেমিক।
বনসু বলেন, ‘একটি সোভিয়েত যুগের পুরষ্কার যাদের দশ বা ততোধিক সন্তান রয়েছে, তাকে মাদার হিরোইন বলা হয়। এটি রাশিয়ার জনসংখ্যাগত সংকট থেকে পুনরুদ্ধার করার একটি প্রয়াস যা ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আরও বেশি গভীর হয়েছে’।
আরও পড়ুন: ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আজমির শরিফে যাবেন শেখ হাসিনা
‘নির্দেশ অনুসারে, মহিলারা তাদের দশম সন্তানের প্রথম জন্মদিনে পৌঁছানোর পরে ১ মিলিয়ন রুবল, অর্থাৎ প্রায় ১৩,৫০০ পাউন্ডের এককালীন পেমেন্ট পাবেন। কিন্তু শর্ত হল যে তাঁর বাকি নয়টি সন্তান তখনও জীবিত আছে’। তিনি প্রশ্ন করেন এই ঘটনা মরিয়া শোনাচ্ছে কি না?
ডাঃ ম্যাথার্স বলেছেন, ‘এটা আসল। এটা বেশ মরিয়া প্রয়াস। আমি বলতে চাইছি, রাশিয়া জনসংখ্যা সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছে। ১৯৯০ এর দশক থেকে রাশিয়া প্রায়ই দেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য বেশি লোক আনার চেষ্টা করছে’।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী সত্যিই রাশিয়ার জনসংখ্যাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার এবং বড় পরিবার নেওয়ার জন্য এটি স্পষ্টতই রাশিয়ান মহিলাদের উৎসাহিত করার একটি প্রয়াস’।