এক ছবিতে ভিখারি থেকে দেশের বিখ্যাত মডেল হওয়ার কাহিনি

ওর নাম চ্যাং গুওরোং। রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করাটাই ওর কাজ। কোনওদিন জুটলে খায়, না হলে পেটে খিদে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে ভিখারি হলে হবে কী, চ্যাং কিন্তু জীবনটা কাটায় ওর নিজস্ব স্টাইলে। ছেঁড়া জ্যাকেট, জুতো আস্তাকুঁড় থেকে তুলে এনে নিজের স্টাইলে সেলাই  করে পরে। আসলে চ্যাংয়ের জীবনমন্ত্রটা খুব সোজা। তুমি যতই ভিখারি হও, মনটা রাখো রাজার মত। শেষ অবধি এই জীবনমন্ত্রটাই বদলে দিল চ্যাংয়ের জীবন। বদলে কী হল, জানার আগে পরের কথাটা পড়ুন।

Updated By: Jul 26, 2016, 10:54 AM IST
এক ছবিতে ভিখারি থেকে দেশের বিখ্যাত মডেল হওয়ার কাহিনি

ওয়েব ডেস্ক: ওর নাম চ্যাং গুওরোং। রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করাটাই ওর কাজ। কোনওদিন জুটলে খায়, না হলে পেটে খিদে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে ভিখারি হলে হবে কী, চ্যাং কিন্তু জীবনটা কাটায় ওর নিজস্ব স্টাইলে। ছেঁড়া জ্যাকেট, জুতো আস্তাকুঁড় থেকে তুলে এনে নিজের স্টাইলে সেলাই  করে পরে। আসলে চ্যাংয়ের জীবনমন্ত্রটা খুব সোজা। তুমি যতই ভিখারি হও, মনটা রাখো রাজার মত। শেষ অবধি এই জীবনমন্ত্রটাই বদলে দিল চ্যাংয়ের জীবন। বদলে কী হল, জানার আগে পরের কথাটা পড়ুন।

আরও পড়ুন- এ কী করছেন এই তরুণী! (দেখুন ভিডিও)

আর পাঁচটা দিনের মতই দক্ষিণ চিনের নিংবোর বড় রাস্তায় চ্যাং ভিক্ষে করতে বেরিয়েছিল। পরনে জ্যাকেট, ভিতরে সোয়েটার, ফ্যাব্রিক বেল্ট আর মুখে সিগারেট। একেবারে বিন্দাস লুক যাকে বলে। চ্যাংকে চোখে পড়ে যায় এক তরুণের। সে চমকে যায়, আরে এটা একজন ভিখারি! সঙ্গে সঙ্গে সে ওর কাঁপা কাঁপা অপেশাদার হাতে তুলে নেন চ্যাংয়ের ছবি। সেই ছবি তারপর পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যস, ছবিটা ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। চিনের বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে চ্যাংকে পেতে। কিছুটা মেকওভারের পর চ্যাং নেমে পড়েন মডেলিং। তারপরটা সবারই জানা। দেশের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষের শিরোপা পায় ও।

আরও পড়ুন- পোকেমন ধরতে শেষমেশ গাছে চড়লেন মহিলা! (ভিডিও)

চ্যাংয়ের জীবনের এই রূপকথার মত উত্থানের বাইরেও একটা গল্প আছে। ১৯৯৬ সালে চ্যাং নিংবোতে এসেছিলেন কাজের খোঁজে। আসলে চ্যাংয়ের একটা সুন্দর পরিবার আছে। বাবা, স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে ভরা পরিবার। ভাল চাকরিও ছিল একটা। কিন্তু চাকরিটা চলে যাওয়ার পরই সব এলোমেলো হয়ে যায়। চাকরি যাওয়ার পরও বাড়িতে কিছু জানায়নি ও। সংসার চালাতো জমানো টাকা দিয়ে। সেটাও একদিন শেষ হওয়ার পর ও বাড়ি ছেড়ে পালায়। তারপরই নিংবোতে। সেখানে কিছু না পেয়ে একেবারে ভিক্ষে করতে শুরু করে।

১৪ বছর পর বাড়ি ফিরে চ্যাং দেখে তার বাবা আর স্ত্রী মারা গিয়েছে। চ্যাংয়ের ভক্তকূল প্রথমে তাঁকে জীবনে ফিরে আসতে মোটা টাকার সহায়তা করে। পরে অবশ্য চ্যাং মোটা টাকার চুক্তিতে কাজ করার পর বেশ বড়লোক।

সত্যি সিনেমা অনেক সময়ই জীবনের ঢঙে চলে। জীবনটাও কারও কারও সিনেমার ঢঙে চলে।

.