মার্কিন হুঁশিয়ারি উড়িয়ে রাশিয়ার জবাব ইউক্রেন থেকে এখনই সেনা সরছে না

আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া জানিয়ে দিল, ইউক্রেন থেকে সেনা সরাচ্ছে না তারা। ক্রিমিয়া এখন কার্যত রুশ সেনার দখলে। রাশিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের স্বার্থই প্রথম দেখবে তারা। মস্কোর ওপর চাপ তৈরির কৌশল এখনও ঠিক করতে পারেনি আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং নেটো। একটি গুলিও খরচ করতে হল না রাশিয়াকে। ক্রিমিয়া কার্যত চলে এল রুশ সেনার দখলে। সেনাছাউনি, বিমানবন্দর, টিভি সেন্টার সব জায়গাতেই উড়ছে রুশ পতাকা।

Updated By: Mar 3, 2014, 11:41 PM IST

আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া জানিয়ে দিল, ইউক্রেন থেকে সেনা সরাচ্ছে না তারা। ক্রিমিয়া এখন কার্যত রুশ সেনার দখলে। রাশিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের স্বার্থই প্রথম দেখবে তারা। মস্কোর ওপর চাপ তৈরির কৌশল এখনও ঠিক করতে পারেনি আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং নেটো। একটি গুলিও খরচ করতে হল না রাশিয়াকে। ক্রিমিয়া কার্যত চলে এল রুশ সেনার দখলে। সেনাছাউনি, বিমানবন্দর, টিভি সেন্টার সব জায়গাতেই উড়ছে রুশ পতাকা।

মস্কো জানিয়ে দিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ইউক্রেন থেকে সেনা সরাবে না তারা। ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের স্বার্থই এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ওবামার ফোন, ব্রিটেনের হুঁশিয়ারি। কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা করতে রাজি নন ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সাফ কথা, ইউক্রেনের গদিচ্যুত প্রেসিডেন্টের সময়ে করা চুক্তিকে পুনর্বহাল করতে হবে। সেক্ষেত্রে ফের ফিরিয়ে আনতে হবে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে। আর সেটা কোনওভাবেই হতে দিতে নারাজ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

তাই চাপ বাড়াতে ত্রিফলা শানাচ্ছে EU, নেটো এবং আমেরিকা। জি এইট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। হতে পারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও। কিন্তু, এই দুই অস্ত্রে কোনওভাবেই বাগে আনা যাবে না রাশিয়াকে। সেক্ষেত্রে কূটনৈতিক পথে চাপ বাড়াতে ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কিন্তু, রাশিয়া সম্ভবত আঁচ করতে পেরেছে কোনও কড়া পদক্ষেপই তাদের বিরুদ্ধে নেওয়ার মতো জায়গায় নেই আন্তর্জাতিক মহল। সিরিয়া, জর্জিয়ার ক্ষেত্রেও চাপ বাড়িয়ে নোয়ানো যায়নি মস্কোকে। আর ইউক্রেনের ক্ষেত্রে তো বেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থাতেই আছে রাশিয়া। ক্রিমিয়ার একটা বড় অংশের মানুষ রুশপন্থী। ফলে, সেই জোরটাকে কাজে লাগিয়েই রাশিয়া বলছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই সরানো হবে না সেনা। অনড় ইউক্রেনও। সেনা সংখ্যায় রাশিয়ার কাছে তারা কার্যত নস্যি। পাল্টা আক্রমণে না গেলেও, যুদ্ধের জন্য সেনাকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী।

.