Saudi Arabia: পুরুষদের 'লোভী দৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত মনোযোগ' এড়ানোর জন্য কী করলেন সৌদি রমণীরা জানেন?
সৌদিতে এখন খোলা হাওয়া। মেয়েরা সেখানে এখন অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা উপভোগ করছেন। আর সেই খোলা হাওয়ায় উড়ল চুলও!
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌদিতে এখন খোলা হাওয়া। মেয়েরা সেখানে এখন অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা উপভোগ করছেন। সেই খোলা হাওয়ায় উড়ল চুলও!
সৌদি আরবে কর্মজগতের সঙ্গে যুক্ত মেয়েদের অনেকেই ইদানীং ছোট চুল রাখছেন। ছোট চুল কাটার এই ধরনটি ইংরেজিতে 'বয়কাট' নামে পরিচিত। সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমনের আমলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। কর্মজীবী নারীরা এ ধরনের চুলের ছাঁটকে অনেক সুবিধাজনক বলে মনে করছেন।
এভাবে চুল কাটার আরও একটি কারণ আছে বলে জানা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মেয়েদের থেকে। তিনি বলেন, এতে চুলের দিকে পুরুষদের অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি ও আকর্ষণ এড়িয়ে কাজে বেশি মনোনিবেশ করা যায়।
রিয়াধের এক পার্লারে চুলের পরিচর্যাকারী লামিস বলেন, মেয়েদের মধ্যে ছোট চুল বা বয়কাটের প্রবণতা বাড়ছে। ৩০ জনের মধ্যে ৭-৮ জনই বয়কাট চান। বয়কাট এখন নারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা চুলের এ রকম ছাঁট বেশি পছন্দ করেন।
সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমনের সময়ে মাথায় হিজাব পরার বাধ্যতামূলক নিয়ম শিথিল করা হয়। বিভিন্ন কনসার্টে নারীদের অংশগ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন। এই মুক্তির হাওয়ার মধ্যেই এই চুলছাঁটার হিড়িক।
সৌদির এই নতুন দিনের মেয়েরা বলছেন, চুলের বয়কাট তাঁদের কাজের জন্য সুবিধাজনক বলে মনে করছেন তাঁরা। কেউ কেউ বলছেন, চুলের যত্ন নেওয়ার মতো সময় তাঁদের নেই। সকালে কাজে বের হওয়ার আগে চুলের পরিচর্যা করার মতো সময় তাঁদের হাতে থাকে না। কেউ কেউ আবার এমনও বলছেন, ছোট চুলকে মেয়েদের শক্তির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন তাঁরা!
আরও পড়ুন: Bangladesh Padma Multipurpose Bridge: 'স্বপ্নের সেতু' নিয়ে পদ্মার ঢেউয়ের মতোই আবেগে উত্তাল বাংলাদেশ