ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসের মধ্যেই কেটে অ্যাসিডে গলিয়ে ফেলা হয় খাশোগির দেহ
গত ২ অক্টোবর খাশোগিকে শেষবারের মতো দেখা যায় ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে। তাঁর তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির মৃত্যু তদন্তে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিষয়টি নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের পরামর্শদাতা ইয়াসিন আকতায়।
আরও পড়ুন-ভুয়ো বিল ছাপিয়ে চাঁদা তোলা, শাস্তি পেল ২ পুলিসকর্তা
শনিবার তুরস্কের সংবাদপত্র সাবাহ-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসের মধ্যে খুন করা হয়। এরপর দেহ কেটে টুকরো করে ফেলা হয়। সেইসব কাটা অংশ অ্যাসিডে গলিয়ে তা ড্রেন ঢেলে দেওয়া হয়। সৌদি দূতাবাসের ড্রেনে অ্যাসিডের অস্তিত্ব পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
I'm unable to express my sorrow to learn about dissolving your body Jamal! They killed you and chopped up your body, depriving me and your family of conducting your funeral prayer and burying you in Madinah as wished.
Are these killers and those behind it human beings?
Oh my God! pic.twitter.com/U5OKS5DkVb— Hatice Cengiz / خديجة (@mercan_resifi) November 8, 2018
উল্লেখ্য, সৌদি রাজ পরিবারের কট্টর বিরোধী খাশোগি কলাম লিখতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্রে। তাঁর কলামে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। কোনও কোনও মহলের খবর, খাশোগিকে দেশে ফেরানোর জন্য ১৫ জনের একটি দলকে তুরস্কে পাঠায় সৌদি আরব।
গত ২ অক্টোবর খাশোগিকে শেষবারের মতো দেখা যায় ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে। তাঁর তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। দুবার ফেরানোর পর তাঁকে ওই ২ অক্টোবর আসতে বলেন দূতাবাসের সৌদি আধিকারিকরা। দূতাবাসে ঢোকার আগে খাশোগি তাঁর আইফোনটি তাঁর বাগদত্তাকে দিয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা দূতাবাস থেকে বেরিয়ে না আসায় গোটা বিষয়টি ফাঁস করেন খাশোগির বাগদত্তা হাত্রিজ চেঙ্গিজ।
আও পড়ুন-সাইকেল আরোহীকে পাশ কাটাতে গিয়ে উল্টে গেল বাস, আহত ৩০
নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক খাশোগির দেহ কোথায় গেল তা নিয়ে এতদিন ধোঁয়াশা ছিল। তবে ইস্তানবুলের চাপে পড়ে সৌদি সরকার স্বীকার করে নেয়, দূতাবাসের মধ্যে হাতাহাতির সময় খাশোগির মৃত্যু হয়।
এদিকে, খাশোগির মৃত্যুর তদন্ত করেছে সৌদির একটি তদন্তকারী দল। এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদপত্রা সাবাহ সেখানে বলা হচ্ছে তদন্তকারী দলে ছিলেন আহমেদ আবদেলআজিজ নামে এক রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ ও এক টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞ।