সাংবাদিকদের হত্যা করা জঙ্গিকে গাছের সঙ্গে হাত- পা বেঁধে গুলি করে শাস্তি দেওয়া হল
গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রতিনিয়ত চলছে সন্ত্রাস। জঙ্গিদের নৃশংসতায় তটস্থ বিশ্বের মানুষ। তাঁদের এই নৃশংসতার যথাযোগ্য শাস্তি দিল সোমালিয়া। ইসলামিস্ট গ্রুপের একদা সদস্য ছিল হাসান হানাফি। নিরীহ মানুষকে নৃশংস মৃত্যু দেওয়ায় ছিল তার কাজ।
ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রতিনিয়ত চলছে সন্ত্রাস। জঙ্গিদের নৃশংসতায় তটস্থ বিশ্বের মানুষ। তাঁদের এই নৃশংসতার যথাযোগ্য শাস্তি দিল সোমালিয়া। ইসলামিস্ট গ্রুপের একদা সদস্য ছিল হাসান হানাফি। নিরীহ মানুষকে নৃশংস মৃত্যু দেওয়ায় ছিল তার কাজ। ২০১৪ সালে সোমালিয়া পুলিসের হাতে ধরা পরে এই জঙ্গি হাসান হানাফি। দু'বছর ধরে বিচার চলার পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হানাফিকে।
পাঁচ সাংবাদিককে কয়েদ করে রেখে নৃশংস ভাবে হত্যা করে হানাফি। এই হত্যার অভিযোগেই সোমালিয়া পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। বিচারে মিলিটারি বিচারক মৃত্যুদণ্ড দেন। এই মৃত্যুদণ্ড তাকে সেই নৃশংসতাকেই ফিরিয়ে দেয়, যেভাবে ৫ সাংবাদিককে খুন করেছিল সে। একটি কাঠের পোলে হাত-পা বেঁধে একের পর এক গুলি চালাতে থাকা হয় হানাফির ওপর যতক্ষণ পর্যন্ত না সে মারা যায়। শাস্তি দিলেও হানাফির নিজের অপরাধের জন্য কোনও আফশোস ছিল না। বরং মৃত্যুর আগে জোর গলায় বল গেছে, তাকে মেরে ফেলে কোনও লাভ নেই। এভাবে পৃথিবীতে মৃত্যু বন্ধ করা যাবে না।
একদিকে যখন শাস্তি পাচ্ছে জঙ্গি, অন্যদিকে তখন শোনা যাচ্ছে হুমকি। ব্রাসেলস জঙ্গি হানার ক্ষত এখনো ভোলেনি ফ্রান্স, এরমধ্যে ফের ফ্রান্সে জঙ্গি হানার হুমকি দিল আইসিস। আর এক মাস পরে শুরু হবে ইউরো কাপ। এই ফুটবল টুর্নামেন্টই ফ্রান্সে আইসিসের পরবর্তী টার্গেট। জঙ্গিদের এই পরিকল্পনা বানচাল করতে ফ্রান্স জুড়ে বাড়ানো হচ্ছে সতর্কতা।