Paetongtarn Shinawatra: নির্বাচন ক'দিন পরেই, এদিকে মা হলেন প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার...
Thailand PM Candidate Paetongtarn Shinawatra: মা হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী-পদের অন্যতম দাবিদার। তাঁর বাবা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বাবার অন্য পরিচয়ও আছে। তিনি দেশের অন্যতম ধনীও। এদিকে তাঁর কাকিমাও একদা ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কি পারবেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী-পদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়িটংটার্ন শিনাওয়াত্রা। ভোটের আর মাত্র দু সপ্তাহ বাকি। তার আগে ৩৬ বছরের এই রাজনীতিক জন্ম দিলেন শিশু সন্তানের। তিনি বিরোধী দল ফেউ থাইের নেতা। মা হয়ে খুবই আনন্দিত শিনাওয়াত্রা অবশ্য ভোটের কাজে বিন্দুমাত্র শৈথিল্যে বিশ্বাসী নন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েকদিন পরেই একটু সুস্থ হয়েই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে নবজাতকের সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি ভোটের প্রচারে নিজেকে এতটুকু রেয়াত করেননি।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে কাজ হারাবেন ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ...
সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অন্যতম ধনী বিলিওনেয়ার থাকসিন শিনাওয়াত্রার কন্যা তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে দেশের মিলিটারি তাঁকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করেছিল। সেটা ছিল ২০০৬ সাল। তাঁর কারাদণ্ড হতে পারে আঁচ করে তিনি নিজেই নিজেকে নির্বাসনে ঠেলে দিয়েছিলেন। তবে থাকসিন শিনাওয়াত্রা তাঁর গ্র্যান্ডচাইল্ডের জন্মে উল্লসিত। তিনি এ নিয়ে ট্যুইটও করেন। প্রসঙ্গত পেয়িটংটার্ন শিনাওয়াত্রার এই নবজাতকের জেরে থাকসিন শিনাওয়াত্রার নাতি-নাতনির সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৭ জন।
আরও পড়ুন: এবার সরকারি নিয়ম মেনেই মা হতে পারবেন অবিবাহিত তরুণীরাও! কী ভাবে?
এ নিয়ে তিনি কথাও বলেছেন। একটু যেন দুঃখের সঙ্গে থাকসিন শিনাওয়াত্রা লেখেন, তাঁর সব কটি নাতি-নাতনির জন্মের সময়েই তিনি বিদেশে। আগামী জুলাইতে আমার ৭৪ বছর বয়স হয়ে যাবে। এবার কি আমি আমার নাতি-নাতনিদের দেখার জন্য দেশে ফিরতে পারব না?
আগামী ১৪ মে থাইল্যান্ডে ভোট। দেখতে গেলে আর প্রায় সময়ই নেই। দেখতে-দেখতে বাকি ১৩-১৪ দিন কেটে যাবে। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে হবে সদ্য মা-হওয়া সে দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের পদের অন্যতম দাবিদার পেয়িটংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে।
শুধু পেয়িটংটার্ন শিনাওয়াত্রার বাবা থাকসিন শিনাওয়াত্রাই নন, পেয়িটংটার্নের কাকিমাও একদা এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এবং তিনিও কয়েদখানা এড়াতে স্বেচ্ছা-নির্বাসন বেছে নিয়েছেন।