ধর্ষিতা হতেই হবে, জোগান বজায় রাখতে ধর্ষণের পর পিল
একটা ঘর। একটা দরজা। সকালের একটা সূর্য ওঠা। সমান্তরাল লাইনে দিনের পর দিন ট্রেন যেভাবে চলে ওদের জীবনটাও ঘর, দরজা আর সূর্য-এই তিন ধ্রুব ও কঠিন সত্যির মত সমান্তরাল।
ওয়েব ডেস্ক: একটা ঘর। একটা দরজা। সকালের একটা সূর্য ওঠা। সমান্তরাল লাইনে দিনের পর দিন ট্রেন যেভাবে চলে ওদের জীবনটাও ঘর, দরজা আর সূর্য-এই তিন ধ্রুব ও কঠিন সত্যির মত সমান্তরাল।
সকালে ওঠার পর যে মানুষটা এটা বুঝতে পারে, দিনের সূর্য ওঠার সঙ্গেই একটা দরজা খুলে তাঁকে একটা ঘরে ঢুকে যেতে হবে এবং একজন নয় দুজন নয় কত শত মানুষ আসবে আর তাঁর শরীরের ওপর উঠবে আর শেষে তাঁর গর্ভে বীর্য দিয়ে যাবে, তাঁর কষ্টটা বোধহয় ঈশ্বরের স্বরচিত নয়। রাজনীতি, ধর্ম, পরিস্থিতি এমনই, মায়ের আদর খেতে খেতে মেয়েকে বুঝে নিতে হয়, আমি ধর্ষিত হব, আর গর্ভে লালন করতে হবে ধর্ষকের সন্তান। সে সন্তান যে তাঁরও, কিন্তু সেই ভাবনা ভাবারও উপায় নেই, কারণ ওই ধর্ষিতা এটাও জেনে গিয়েছেন তাঁর গর্ভের সন্তান যখন বছর ১৪ কিংবা ১৫ হবেন তাঁর সঙ্গেও এমনটা করা হবে।
প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে, প্রতি রাতে এমনটাই ঘটছে ইরাক থেকে সিরয়ায়। ISIS- যৌন দাসীদের জোগান মজুত রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে, যা এক কথায় নারকীয়। "আমি প্রতি মাসে একটা করে উপহার পাই। একটা বাক্স, যার মধ্যে থাকে গোটা একমাসের গর্ভ নিরোধক পিল। হাত বদলে বদলে যখন এক বিছানা থেকে অন্য বিছানায় আমি যাই, আমার কাছে একমাত্র অপরিবর্তিত বিষয় হল ওই পিল ভর্তি বাক্স", নিজের কষ্টের কথা এভাবেই জানান ১৬ বছরের এক ধর্ষিতা।