Durga Puja 2022: কানাডার বুকে বনেদিবাড়ির পুজো
Durga Puja 2022:কানাডার মিল্টন শহর। এই শহরে বাঙালিদের আনাগোনা কম নেই। আর সেখানেই এখন দুর্গাপুজোয় মেতেছেন এক বাঙালি দম্পতি । দত্তবাড়ির এই পুজো এখন সুপারহিট। কারণ প্রবাসী বাঙালিদের কাছে এই পুজো প্রবল জনপ্রিয়। তবে টরেন্টোর মাটিতে কিন্তু দুর্গাপুজোর সংখ্যা নেহাত হাতে গোনা নয়। টরেন্টো কালীবাড়ি হোক অথবা কানাডা বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির সবক্ষেত্রেই দুর্গাপুজো হয় যথেষ্ট ধুমধাম করে।
তনুশ্রী দাশগুপ্ত, কানাডা
কানাডার মিল্টন শহর। এই শহরে বাঙালিদের আনাগোনা কম নেই। আর সেখানেই এখন দুর্গাপুজোয় মেতেছেন এক বাঙালি দম্পতি। দত্তবাড়ির এই পুজো এখন সুপারহিট। কারণ প্রবাসী বাঙালিদের কাছে এই পুজো প্রবল জনপ্রিয়। তবে টরেণ্টোর মাটিতে কিন্তু দুর্গাপুজোর সংখ্যা নেহাত হাতে গোনা নয়। টরেণ্টো কালীবাড়ি হোক অথবা কানাডা বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির সবক্ষেত্রেই দুর্গাপুজো হয় যথেষ্ট ধুমধাম করে। দুর্গাপুজোর চারটে দিন এইসমস্ত এলাকা হয়ে ওঠে বাঙালির মিলনক্ষেত্র। তবে এতকিছুর মধ্যেও প্রবাসী বাঙালিরা যদি চান নিতান্ত ঘরোয়া পরিবেশে পুজো উদযাপন করতে তবে তাঁরা কিন্তু একবার ঢুঁ মারতেই পারেন দত্তবাড়ির এই পুজোতে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022 : ৬২০০ ফুট উঁচুতে এবার চমক 'স্বর্গের পুজো'
প্রায় বছর সতের আগে কলকাতা ছেড়ে ঋত্বিক এবং তাঁর স্ত্রী ঋতুপর্ণা পাড়ি জমিয়েছিলেন টরেণ্টোর উদ্দেশ্যে। প্রথমদিকে কিছু বছর পুজোর সময় নিয়ম করে কলকাতাগামী বিমানে চড়ে বসতেন দত্ত দম্পতি। তারপর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভ্যাসে ঘটেছে পরিবর্তন। এখন আর প্রত্যেক পুজোর মরশুমে কলকাতাগামী ফ্লাইটে দেখা মেলে না দত্ত দম্পতির। তার বদলে তাঁরা শারদীয়া উদযাপন করেন বিদেশের পুজো মণ্ডপে চরকিবাজি করে। অতিমারির দিনগুলোতে সমগ্র পৃথিবী যখন লড়ছে করোনাসুরের সঙ্গে তখন একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায় বিদেশের সার্বজনীন পুজোগুলি। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা হল অনলাইনে। কিন্তু এরকিছুর পরেও ভাটা পড়েনি বাঙালির পুজো উন্মাদনায়। তাই করোনা অতিমারীর মধ্যেও ঋত্বিক আর ঋতুপর্ণা নেমে পড়লেন কোমর বেঁধে। টরেণ্টোর বুকে শুরু হল দত্তবাড়ির দুর্গাপুজো।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: এই মির্জাপুরে কালিন ভাইয়া নেই, এখানে টানাপোড়েনে বোনা হয় জীবন!
বিদেশে যাওয়ার প্রায় ১৭ বছর পর ঋত্বিক আর ঋতুপর্ণার হাত ধরে শুধু যে টরেণ্টোর বুকে পুজোর সূত্রপাত হল তাই নয়। তাঁরা এই পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত করলেন তাঁদের পাড়া- প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবদের। সুতরাং দত্তবাড়ির এই পুজো এখন সার্বজনীন। কলকাতার বৌবাজারে ঋত্বিকদের বাড়ির দুর্গাপুজো তার গর্ভে ধরে রেখেছে বহুবছরের ইতিহাসকে। কলকাতায় বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে ঋত্বিকদের বাড়ির পুজো অন্যতম। কালের নিয়মে বাড়ির অনেকে বিদেশে থাকায় কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে দত্তবাড়ির পুজোর জৌলুস। আর একারণেই বোধহয় দুর্গাপুজোর মধ্য দিয়ে টরেন্টর বুকে একটুকরো কল্লোলিনী তিলোত্তমাকে তুলে আনেন ঋত্বিক-ঋতুপর্ণা। পুজোর কয়েকটা দিন অঞ্জলি, ভোগবিতরন, পুজোর গল্প, গানে দত্তবাড়ি চত্বর হয়ে ওঠে ‘ মিল্টনের ম্যাডক্স স্কোয়ার।‘ সুতরাং পুজোর দিনগুলিতে কলকাতার গন্ধ পেতে হলে প্রবাসী বাঙালিদের আসতেই হবে দত্তবাড়ির দুর্গাপুজোতে।