আসছে ভয়ঙ্কর এক খরা 'অতিমারী', হুঁশিয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের
খরা কোনও নতুন বিষয় নয়, অথচ এ নিয়ে মানুষ তত সচেতনও নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা-পর্ব মেটেনি। এর মধ্যেই অন্য এক অতিমারীর ছায়া ঘনাচ্ছে। হুঁশিয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি বিশেষ রিপোর্টে বলছে, এই অতিমারী হতে চলেছে খরার অতিমারী।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু ও ঋতু-পর্বের পরিবর্তন (shifting climates), ভূগর্ভস্থ জলের অপরিকল্পিত ব্যবহার (poor water management), অপচয় এবং ক্রমবর্ধমান জনঘনত্বের (growing population) বিপদই এই আসন্ন অতিমারীর ('pandemic' of catastrophic droughts) জন্য দায়ী হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের দামে গোপনীয়তার চুক্তি লঙ্ঘন, নেপালকে নিয়ে অসন্তুষ্ট চিন
গত দু দশকে অন্তত পক্ষে দেড়শো কোটি মানুষ ইতিধ্যেই খরার প্রকোপে পড়ে গিয়েছেন। বিঘ্নিত হয়েছে অর্থনীতি। UN's Special Report বলছে, পৃথিবীর বিশেষ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমছে বলে খরা তরান্বিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জলসঙ্কটে ভোগা অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিতও হয়ে গিয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু স্থান। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণে ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছে। জলস্তর নীচে নেমেছে।
ভূগর্ভস্থ জলের অপচয় রোখার কয়েকটি পথেরও উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। বলা হয়েছে, এজন্য কৃষিকাজ বাড়াতে হবে আরও অনেক গুণ। কমাতে হবে পর্যটন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন।
বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) নিয়ে বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শিল্পযুগের তুলনায় এখন বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ফলে খরার আবহ প্রায় প্রস্তুতই।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: Juneteenth জাতীয় ছুটি ঘোষিত হলে উল্লসিত ৯৪ বছরের বৃদ্ধা Opal Lee