আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ, ‘খুশির দিনে’ মৃত্যু ছাড়াল ২০ হাজার

চিনকে দেখে একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন পশ্চিম ইউরোপের মানুষেরা। লাগাতার লকডাউনের জেরে ছন্দে ফিরেছে চিন। বুকে বল রাখলেও সম্ভব হচ্ছে না করোনার জেরে মৃত্যমিছিল রোখা

Updated By: Apr 12, 2020, 05:24 PM IST
আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ, ‘খুশির দিনে’ মৃত্যু ছাড়াল ২০ হাজার
ছবি- টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন-  বিশ্বকে নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলছে নোভেল করোনাভাইরাস! এই মারণ ভাইরাসে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইষ্টারের পবিত্র দিনেই খুশি আনন্দ এক নিমেষে দূরে সরিয়ে দিয়ে আমেরিকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যাটা ২০ হাজার ছাড়াল।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী গোটা আমেরিকায় মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ১১১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৫৬ জন। এখনও আমেরিকায় বিশ্বের সবথেকে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা ।

চিনকে দেখে একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন পশ্চিম ইউরোপের মানুষেরা। লাগাতার লকডাউনের জেরে ছন্দে ফিরেছে চিন। বুকে বল রাখলেও সম্ভব হচ্ছে না করোনার জেরে মৃত্যমিছিল রোখা। ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৮ জনের। ফ্রান্সে ১৬ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নোভেল করোনা। প্রেমের দেশ ফ্রান্সে মৃত্যু ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। যার জেরে ইষ্টারের এই খুশির দিনে মুখ ভার গোটা বিশ্বের।

সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি খ্রীষ্টান ধর্মাম্বলী মানুষ বাস করেন। গৃহবন্দি অবস্থাতেই কাটছে সকলের ইষ্টার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চার্চ সেন্ট পিটার'স ব্যাসিলিকা থেকে ইষ্টার পালন করলেন পোপ। চার্চে শ্রোতা একজনও নেই বললেই চলে। সকলে লকডাউনে আবদ্ধ। শত অন্ধকারেও আশার বাণী শোনালেন পোপ। তিনি বলছেন, "আমরা বারবার বলে আসছি সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা হাল ছাড়ব না। আমরা চেষ্টা করে যাব এবং আমরা পারব।"

আরও পড়ুন- লকডাউন মানা না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াত ৮ লক্ষ, দাবি কেন্দ্রের

এবারের ইষ্টারে নেই কেক, অনলাইনেই চলছে "ড্রাইভ ইন"- এর মাধ্যমে ইষ্টার পালন। কিন্তু ফিকে সবকিছুই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অনলাইনেই পালন করবেন ইষ্টার। এই শত কষ্টের মাঝেও আনন্দের খবর দিচ্ছেন বরিস জনসনের চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু আশার বাণী যেন নিরবে নিভৃতে কাঁদছে। সারা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্ত ১৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে উঠুক সবকিছুই, এই আশাতেই বুক বাঁধছে সারা বিশ্বের ৭০০ কোটি।

.