ঢাকা সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠতে পারে কোন ১০টি বিষয়? এক নজরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢাকা সফর নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সফরে কী কী বিষয় উত্থাপিত হতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল। জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর ঢাকা সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে আসতে পারে দশটি বিষয়। ২০০১ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেই সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিস্তা চুক্তির বিরোধী মমতা। পরে আর সেই চুক্তি হয়নি। বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা জলবন্টন চুক্তি না হওয়ার জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি।
এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই গিয়েছেন ঢাকায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশেষ অতিথি হয়ে। তাই তাঁর এই সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে তিস্তার জলবণ্টন এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিষয়ে রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করেই কথা বলবেন। এছাড়াও, দ্বিপাক্ষীক আলোচনায় যে দশটি বিষয় অগ্রাধিকার পেতে পারে, তারমধ্যে প্রথমেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে জলপথে ট্রানজিট ইস্যু। এই নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
অগ্রাধিকারের দ্বিতীয় বিষয় হল দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়। যৌথ প্রযোজনা ছাড়াও চলচ্চিত্র নির্মাণে বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পের পরিকাঠামোকে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। অগ্রাধিকারের তিন নম্বরে থাকতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়ন।
চতুর্থ হিসেবে উঠে আসতে পারে ঢাকাই শাড়ি আমদানির প্রসঙ্গ।
পঞ্চম স্থানে থাকতে পারে বাংলার বাজারে বাংলাদেশের কাঁচা সবজি আমদানির প্রসঙ্গ।
এছাড়াও অগ্রাধিকার পেতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশ আমদানির বিষয়।
সপ্তম স্থানে উঠে আসতে পারে সুন্দরবনের পরিবেশরক্ষা। দুই বাংলার মধ্যে এবিষয়ে সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথা আলোচনায় তুলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
অষ্টম স্থানে উঠে আসতে পারে সংবাদমাধ্যম। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে দেখানোর বিষয়।
নবম স্থানে থাকতে পারে বাংলাদেশের উত্সাহী শিল্পগোষ্ঠীর পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের কথা।
দশে পশ্চিমবঙ্গে পড়াশুনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।