রাজনৈতিক সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পাকিস্তান, শিকার যাঁরা...

তার সরকারের পতনের পর ইমরান খান দেশব্যাপী প্রতিবাদ প্রচার শুরু করেন। এপ্রিল মাসে পেশোয়ার এবং করাচিতে পরপর দুটি সমাবেশে খানের সমর্থনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনুরোধ করা হয় যাতে ভিডিওর মাধ্যমে তিনি জনসমাবেশে ভাষণ দেন। ওয়াজিরাবাদের জাফারালি খান চকে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

Updated By: Nov 3, 2022, 07:00 PM IST
রাজনৈতিক সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পাকিস্তান, শিকার যাঁরা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের ইতিহাস বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে উত্তাল হয়ছে বহুবার। ১৯৪৭ সালে দেশের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর রাজনৈতিক নেতারা অনেকেই আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন। সর্বশেষ যিনি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি হলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে রাওয়ালপিন্ডির কোম্পানি বাগে স্টেজের উপরে হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে এর নামকরণ করা হয় লিয়াকত বাগ। জেনারেল জিয়া-উল-হক এর সামরিক শাসনে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় পাকিস্তানের আরেক দৃঢ়চেতা নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে। লিয়াকত বাগ থেকে কিছুটা দূরেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার ফাঁসির নয় বছর পরে মৃত্যু হয় জিয়া উল হকের।

একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জিয়ার। কিছু মহল থেকে সন্দেহ করা হয় এই বিমান দুর্ঘটনা একটি হত্যাকাণ্ড। অনেকেই আশঙ্কা করেন যে ইমরান খানের হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছে।

পাকিস্তানের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে দেশ। তাঁর প্রাণনাশের হুমকি ছিল এবং সেই কারণে উচ্চ নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একই শহরে হত্যা করা হয় তাঁকে।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয় যে তার স্বামী বেনজির ভুট্টোর লাশের ময়নাতদন্ত করতে দেননি।

মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেনজিরের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বেনজির ভুট্টোর খুনিরাও ধরা পড়েনি।

পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান একটি চিঠি দেখিয়েছিলেন যেখানে তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রকাশ্য জনসভায় এই চিঠি দেখান তিনি। ঠিক একই ভাবে জুলফিকার আলী ভুট্টো একটি রাওয়ালপিন্ডিতে জনসভায় তাঁকে দেওয়া একটি হুমকির চিঠি দেখিয়েছিলেন।

তার সরকারের পতনের পর ইমরান খান দেশব্যাপী প্রতিবাদ প্রচার শুরু করেন। এপ্রিল মাসে পেশোয়ার এবং করাচিতে পরপর দুটি সমাবেশে খানের সমর্থনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: Anthem Of Resistance: যুদ্ধের দিনগুলিতে গান! ইটালির শস্যক্ষেতের লোকসংগীত রণিত হচ্ছে ইরান থেকে ইউক্রেনে...

জেলা এবং প্রাদেশিক স্তরে তৈরি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত গুরুতর হুমকির পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনুরোধ করা হয় যাতে ভিডিওর মাধ্যমে তিনি জনসমাবেশে ভাষণ দেন। ২১ এপ্রিল লাহোরের গ্রেটার ইকবাল পার্কে সশরীরে উপস্থিত থাকতে বারন করা হয়।

এরপরে ৩ নভেম্বর লং মার্চ চলাকালীন ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এই হামলায় আহত হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওয়াজিরাবাদের জাফারালি খান চকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে ফ্রিডম র‌্যালি করার সময়ে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। লং মার্চ করার সময় এই হামলার মুখে পড়েন পাক ক্রিকেটের যুবরাজ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গুলি ইমরানের পায়ে লেগেছে বলে জানানো হয়। ঘটনায় ইমরান ছাড়াও আরও চারজন আহত হয়েছেন। ইমরান ছাড়াও আহত হয়েছেন ফয়জল জাভেদ।

ঘটনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ইমরন খানকে একটু বুলেট প্রুফ গাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয় লাহোরে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.