কাঁচা মাছ খাওয়ার পর গলায় প্রচন্ড ব্যাথা যুবতীর, এর পর যা হল...
আমেরিকান সোশ্যাইটি অব ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন জার্নালে প্রকাশিত কেস স্টাডি করা হয়েছে এই ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, সাশিমি খাওয়ার দিন কয়েক পর থেকেই গলায় লাগাতার যন্ত্রণা হচ্ছিল ২৫ বছর বয়সী ওই মহিলার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গলায় বেশ কিছুদিন খুসখুসে ব্যাথা। করোনা আবহে যা বেশ উদ্বেগের কারণ। তাই দেরি না করে চিকিত্সকের কাছে ছুটেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু, গলার মধ্যে থেকে যা বের হল, তাতে যেন তাজ্জব চিকিত্সকরাই! মহিলার বাম টনসিল থেকে বের হল দেড় ইঞ্চি লম্বা কেঁচো।
আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে জাপানের রাজধানী টোকিয়োর এক মহিলার। আমেরিকান সোশ্যাইটি অব ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন জার্নালে প্রকাশিত কেস স্টাডি করা হয়েছে এই ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, সাশিমি খাওয়ার দিন কয়েক পর থেকেই গলায় লাগাতার যন্ত্রণা হচ্ছিল ২৫ বছর বয়সী ওই মহিলার।
এখানে বলে রাখি, সাশিমি জাপানের এক জনপ্রিয় পদ। রেস্তোরাঁয় সাধারণত একটু দামি কাঁচা মাছ বা মাংস খুব পাতলা করে বিশেষ কায়দায় বোনলেস করে কাটা হয়। সয়া শস ও ওয়াসাবি দিয়ে তা খাওয়া হয়। অনেকটা সুশির মতোই।
এই সাশিমি খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় গলা ব্যাথা। যন্ত্রণা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিত্সকের কাছে যান ওই মহিলা। সেন্ট লিউক্স ইন্টারন্যাশানাল হসপিটালের চিকিত্সকরা তাঁর গলা পরীক্ষা করেই সেখানে একটি কেঁচোর অস্তিত্ব পান। টুইজার বা চিমটে দিয়ে বাম টনসিল থেকে টেনে বের করা হয় কেঁচোটি।
প্রায় দেড় ইঞ্চি লম্বা কেঁচোটি পরীক্ষা করে জানা যায় এটি নিমাটোড রাউন্ডওয়ার্ম। এই ধরনের প্যারাসাইট কেঁচো কাঁচা মাংসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
কিন্তু খাওয়ার সময়ে এটি কি শেফ বা মহিলা এটি দেখতে পারেননি? উত্তরে চিকিত্সকরা জানান, সম্ভবত থার্ড স্টেজে লার্ভা অবস্থায় থাকাকালীন কেঁচোটি মাংস বা মাছের মধ্যে ছিল। এত ছোট হওয়ায় তা দেখা যায়নি। পরে গলায় তা চতুর্থ স্টেজে রূপান্তরিত হয়ে বড় হয়ে যায়।
তবে, এটি খুব অভিনব ঘটনাও নয়। বিভিন্ন দেশেই কাঁচা মাংস, মাছ খাওয়ার পর এমন ঘটনা ঘটেছে বহু ব্যক্তির।
আপাতত ওই মহিলা সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর গলার ব্যাথাও সেরে গিয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে সাশিমির স্বাদ গ্রহণে তাঁর যে একটু হলেও ভয় লাগতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : বাড়ি ভাঙতে এসেছে সরকারি লোকজন, ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসলেন বাসচালক