স্বাস্থ্যবিমার টাকা হাতাতে দালালচক্রের ফাঁদ, ছানি অপারেশন করিয়ে দৃষ্টি হারালেন ৩
দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে ছানি অপারেশন করিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৩ জন। পুরুলিয়ার ঝালদার বেসরকারি নার্সিংহোমে ছানি অপারেশন করেন এই ৩ জন। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাঁরা চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের টাকা হাতাতেই নার্সিংহোম দালালের মাধ্যমে জোর করে অপারেশন করিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে ছানি অপারেশন করিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৩ জন। পুরুলিয়ার ঝালদার বেসরকারি নার্সিংহোমে ছানি অপারেশন করেন এই ৩ জন। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাঁরা চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের টাকা হাতাতেই নার্সিংহোম দালালের মাধ্যমে জোর করে অপারেশন করিয়েছে।
চোখের তেজ কমেছে। আলো কমলে ঠাওর করতে কষ্ট হয়। তবু সারাদিন ব্যস্ততা। ভোর থাকতে গোয়াল খোলা, মাঠে গিয়ে ধান তোলা। সংসারে কী কাজ কম নাকি। এখন আর সে দিন নেই। নডিহার কুশ বাউরি, মনোহর বাউরি, নেপাল রাজোয়া চোখ খুললে এখন অন্ধকার দেখেন। অভিযোগ, ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে তাদের দৃষ্টি শক্তি গেছে।
এঁরা সকলেই ঝালদার অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমে চোখের অপারেশন করিয়েছিলেন। অভিযোগ, এক মহিলা গ্রামে এসে চোখ ভালো করে দেওয়ার কথা বলেন। লাগবে স্বাস্থ্যবীমা আর ভোটার কার্ড। অভিযোগ, সেই কার্ড হাতিয়ে জোর করে তাদের চোখের অপারেশন করানো হয়। অপারেশনের পর চোখ ভাল হওয়াতো দূরের কথা,দৃষ্টিশক্তিই গেছে। নার্সিংহোমের মালিক অবশ্য কোনও অভিযোগই মানতে নারাজ।
কিন্তু পারার নডিহা থেকে অপারেশন করাতে আশি কিলোমিটার দূরের ঝালদার নার্সিংহোমে কেনও রোগী এসেছিল, তার কোনও উত্তর নেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে। যেখানে পুরুলিয়া সদর কিম্বা আসানসোল, দুর্গাপুর যাওয়া যায় অনায়াসে।
অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমার টাকা হাতাতেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এজেন্টের মাধ্যমে রোগী ধরে আনা হচ্ছে। কোথাও অপারেশন হচ্ছে, কোথাও হচ্ছে না। রোগীর নামে বিল করে টাকা হাতাচ্ছে নার্সিংহোমগুলি। গোটা ঘটনা পুরলিয়ার জেলা শাসক ও জেল মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে।