সোনারপুর খোঁজ মিলল অস্ত্র কারখানার

অপহরণের তদন্তে নেমে খোঁজ মিলল এক বড়সড় অস্ত্র কারখানার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এগারোটি ওয়ান শটার, একটি নাইন এমএম পিস্তল। মিলেছে একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুকের নল একত্রিশ রাউন্ড গুলি এবং অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। তিন জনকে ধরেছে পুলিস। তারা হল জ্ঞানসাগর শর্মা, মনোজ ও কালিকান্ত ঝা। সোনারপুরের রেনিয়া অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা রামকুমার ঝা আটই জুলাই রাতে নিখোঁজ হন। ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়। সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় রফা হয়। অগ্রিম হিসাবে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিনদিন বাদে বাড়ি ফেরেন রামকুমার ঝা। বাকি টাকা চেয়ে অপহরণকারীরা ফোন করতে থাকে। ভয় পেয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Updated By: Aug 29, 2013, 10:34 PM IST

অপহরণের তদন্তে নেমে খোঁজ মিলল এক বড়সড় অস্ত্র কারখানার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এগারোটি ওয়ান শটার, একটি নাইন এমএম পিস্তল। মিলেছে একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুকের নল একত্রিশ রাউন্ড গুলি এবং অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। তিন জনকে ধরেছে পুলিস। তারা হল জ্ঞানসাগর শর্মা, মনোজ ও কালিকান্ত ঝা। সোনারপুরের রেনিয়া অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা রামকুমার ঝা আটই জুলাই রাতে নিখোঁজ হন। ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়। সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় রফা হয়। অগ্রিম হিসাবে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিনদিন বাদে বাড়ি ফেরেন রামকুমার ঝা। বাকি টাকা চেয়ে অপহরণকারীরা ফোন করতে থাকে। ভয় পেয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
 
ফোন ট্র্যাক করে জ্ঞানসাগর শর্মা, মনোজ ও কালিকান্ত ঝার হদিশ পায় পুলিস। অপহরণের মাস্টার মাইন্ড জ্ঞানসাগর শর্মা এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অরবিন্দ নগর এলাকায় হানা দেয় জেলা পুলিসের একটি দল। বাড়ির অ্যাসবেসটসের ছাদ ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যায় জ্ঞানসাগর। কিন্তু চমকের অনেকটাই তখনো বাকি ছিল। জ্ঞানসাগরের ঘরে তল্লাসি চালাতেই পুলিস কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ। গ্রিল কারখানার আড়ালে নিজের ঘরে আস্ত একটা অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল জ্ঞানসাগর।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে বিহারের মুঙ্গের থেকে কলকাতায় চলে আসে জ্ঞানসাগর শর্মা। সোনারপুরে জমি কিনে দেড় বছর ধরে এলাকায় গ্রীলের কারখানা করেছিল সে। তার দুই সাগরেদ মনোজ এবং কালিকান্ত ঝার বাড়ি বিহারের দারভাঙায়। মুঙ্গের থেকে নিয়মিত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ কিনে আনা হত।  তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র মূলত চলে যেত আসানসোল, দুর্গাপুর এলাকার মাফিয়াদের হাতে। নাইন এম এম পিস্তলের দাম ছিল কুড়ি হাজার। ওয়ান শটার বিক্রি হত সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। কারা এখান থেকে অস্ত্র কিনত ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার আঁতুড়ঘর মুঙ্গেরের কারবারিদের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগের বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। জেরায় নিজেকে প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছে জ্ঞানসাগর শর্মা। সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় তাঁর কোর্ট মার্শাল হয়েছিল বলে তার দাবি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে জ্ঞানসাগরের যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
 

.