সোমবারই ঠিক হয়েছিল হামলা হবে বামুনঘাটায়

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল মঙ্গলবার বামনঘাটায়? সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকদের গাড়ির ওপর হামলার সময় কী করছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম? স্থানীয় সূত্রের খবর থেকেই জানা গিয়েছে মঙ্গলবারের ঘটনায় ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়কের উপস্থিতির বিবরণ।

Updated By: Jan 9, 2013, 09:51 PM IST

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল মঙ্গলবার বামনঘাটায়? সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকদের গাড়ির ওপর হামলার সময় কী করছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম? স্থানীয় সূত্রের খবর থেকেই জানা গিয়েছে মঙ্গলবারের ঘটনায় ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়কের উপস্থিতির বিবরণ।
আরাবুল যা-ই বলুন, ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে জানা যাচ্ছে, বালিগঞ্জে প্রতীবাদ মিছিলে যাওয়ার পথে বাম সমর্থকদের ওপর হামলার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় সোমবারই। সেই মতো মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ বামনঘাটার তৃণমূল কার্যালয়ে আসেন  আরাবুল ইসলাম। মিছিল শেষে সাড়ে ১১টা নাগাদ দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বসে ছিলেন আরাবুল। সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগী আব্দুর সামাদ মোল্লা সহ দলের অন্যরা।
 
সাড়ে ১১টা নাগাদ সিপিআইএম সমর্থক বোঝাই গাড়িগুলি বামনঘাটার তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যেতে শুরু করে। প্রথমে অশ্লীল গালিগালাজ, শেষের দিকের গাড়িগুলিতে ইট বৃষ্টি। বামনঘাটা ছাড়িয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে সিপিআইএম সমর্থকদের গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন তৃণমূল অফিসের দিকে তেড়ে যান। ক্ষোভ গিয়ে পড়ে অফিসের সামনেই থাকা আরাবুলের গাড়ির ওপর। ঘড়িতে তখন পৌনে ১২টা। সিপিআইএম সমর্থকদের দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে হামলা শুরু হয়।
আসরে নামেন আব্দুর সামাদ মোল্লা। প্রথম গুলি তিনিই চালান। এগিয়ে আসেন আরাবুল। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি চলে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান সিপিআইএম সমর্থকেরা। হামলায় আরাবুল, সামাদদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল, সইদুল মোল্লা, সফিকুল মোল্লা, মোমিনুল ইসলাম। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে উঠে আসছে আরাবুলের ডান হাত, একসময় দমদম নাগেরবাজার এলাকার রিক্সাচালক, পশ্চিম সাতুলিয়ার বাসিন্দা আবদুর সামাদের নাম। তৃণমূল সূত্রেই জানা গেল, আরাবুলের হয়ে যাবতীয় তোলাবাজি করে এই সামাদই। আরাবুলের ভাই আজিজুল ইসলাম ওরফে খুদের সঙ্গে সামাদের গলায় গলায় সম্পর্ক। মঙ্গলবার মিডিয়ায় খবর ছড়ানোর পরে যখন এলাকায় পুলিস ঢোকে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘুরছিল সামাদ। পুলিসই সামাদকে এলাকা ছাড়া করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আরাবুলই তাঁর হাতে গুলি লাগার কথা প্রচার করতে নির্দেশ দেন। নিজের হাতে গুলি করতেও বলেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে মিডিয়া পৌঁছে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে চিনার পার্কের নার্সিংহোমে ভর্তি হন ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। 

.