তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে পুনর্নির্বাচন চাইল বিজেপি

বাতিল নোটের জেরে নাজেহাল মানুষ। তাই ভোটে নজর নেই বললেই চলে। এমনই একটা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন হল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে। দু-একটা বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া ভোট হল মোটের উপর নির্বিঘ্নে । তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে পুনর্নির্বাচন চাইল বিজেপি। ভোট বাতিলের দাবি তুলল বামেরাও।

Updated By: Nov 19, 2016, 07:50 PM IST
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে পুনর্নির্বাচন চাইল বিজেপি

ওয়েব ডেস্ক: বাতিল নোটের জেরে নাজেহাল মানুষ। তাই ভোটে নজর নেই বললেই চলে। এমনই একটা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন হল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে। দু-একটা বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া ভোট হল মোটের উপর নির্বিঘ্নে । তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে পুনর্নির্বাচন চাইল বিজেপি। ভোট বাতিলের দাবি তুলল বামেরাও।

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তবে ভোট নিয়ে আমজনতার হেলদোল তেমন চোখে পড়ল না দিনভর। বরং ভোটের চেয়ে বেশি ভাবনা ছিল নোট নিয়েই। সকালে কোনও বুথেই নজরে পড়েনি ভোটারদের ভিড়। তবে বেলা বাড়তে বাড়ল লাইন। সেই সঙ্গে উঠল অভিযোগও।

আরও পড়ুন এই ব্যক্তির মানিব্যাগের ওজন ১৫ কেজি! জাননে কেন?

EVM -এর সামনে দাঁড়িয়ে খুলে আম ভোটারদের জোড়াফুলে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। দর্শকের ভূমিকায় প্রিসাইডিং অফিসার। কোচবিহারের ডাউয়াগিরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি বুথে ধরা পড়ল এমনই ছবি।

ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করায় বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযাগ উঠল দিনহাটার একটি বুথে। তবে ছাপ্পা ভোট ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠল ছিটমহল থেকেও। পুলিসের সামনেই দুই বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মাথাভাঙার তৃণমূলের শ্রমিক নেতা আলিজার রহমানের বিরুদ্ধে

দিনহাটার ৭নং বুথ। সব দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিলেন তৃণমূল কর্মীরাই। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দফতরে ধরনায় বসেন বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মণ। সেখানে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই কেন্দ্রে পুননির্বাচনের দাবি তুলেছে বিজেপি।

আরও দেখুন ২৪ ঘণ্টা ইমপ্যাক্ট

সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলের দাবি তুলেছে বামেরাও। তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে জেলায়।

গত লোকসভা ভোটে সাতাশি হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটেও লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি বাদে সব আসনে জিতেছিল তারা। এবারও বিরোধীরা  শাসকদলের সমর্থনের ভিতে আদৌ কোনও ফাটল ধরাতে পারবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

.