জীবন দিয়ে প্রেমের মাশুল দিলেন উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের সুজন মাল
প্রেমই কাল হল। সম্পর্ক বিয়ের পিড়ি পর্যন্ত গড়ানোর বদলে, পৌছল মর্গের ঠান্ডাঘরে। জীবন দিয়ে প্রেমের মাশুল দিলেন উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের সুজন মাল। মেয়ের বাড়ির লোকের পছন্দ ছিল না তাঁকে। অভিযোগ, সেকারণেই খুন হতে হল। ঘটনার পর থেকে ফেরার প্রেমিকার বাবা। প্রেমিকার মাকে আটক করেছে পুলিস। গলায় বাঁধা কোমরের বেল্টটাই। পুকুরে ভাসছে দেহ।
ওয়েব ডেস্ক: প্রেমই কাল হল। সম্পর্ক বিয়ের পিড়ি পর্যন্ত গড়ানোর বদলে, পৌছল মর্গের ঠান্ডাঘরে। জীবন দিয়ে প্রেমের মাশুল দিলেন উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের সুজন মাল। মেয়ের বাড়ির লোকের পছন্দ ছিল না তাঁকে। অভিযোগ, সেকারণেই খুন হতে হল। ঘটনার পর থেকে ফেরার প্রেমিকার বাবা। প্রেমিকার মাকে আটক করেছে পুলিস। গলায় বাঁধা কোমরের বেল্টটাই। পুকুরে ভাসছে দেহ।
প্রেমিকাকে বিয়ের স্বপ্ন দেখার মাশুল যে এভাবে দিতে হবে, কখনও বোধহয় ভাবেননি সুজন। বাড়ি শ্যামপুরের নীলকুড়িয়ায় হলেও, গুজরাতে সোনার কাজ করতেন। প্রেম ছিল পাশের গ্রাম ঘনশ্যামপুরের এক তরুণীর সঙ্গে। বহুদিনের সম্পর্ক। কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোক তা জানার পরই সমস্যা শুরু। বিয়েতে নারাজ ছিল মেয়ের পরিবার। অভিযোগ, এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা মেয়ের বাবার। পুলিসেও কানেকশনের অভাব ছিল না। এর জোরেই তিনি সুজনকে নানাভাবে হুমকি দিতেন।
বাবা-মাকে ছেড়ে থাকতে হবে, বিয়ের জন্য এই শর্ত রাখা হয় সুজনের সামনে। কিন্তু রাজি হননি তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে শেষবার তরুণীর বাবার সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল সুজনকে। দাবি গ্রামবাসীদের। এরপরই শুক্রবার গণেশপুরে একটি পুকুরে উদ্ধার হয় সুজনের দেহ। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় গ্রামে। ভাঙচুর হয় প্রেমিকার বাড়িতে। পুলিস দেহ তুলতে এলে, বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদেরও। ঘটনাস্থলে যায় CRPF। তাঁদের আশ্বাসে শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শান্ত হয়। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা প্রেমিকা।