ঘেরাও ইস্যুতে সংসদের পাশেই ব্রাত্য

সন্তোষপুরে স্কুল ঘেরাও কাণ্ডে সংসদকে ক্লিনচিট দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন সংসদ যে পদ্ধতিতে ঘেরাও তুলেছে তা প্রশংসাযোগ্য। শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘেরাও তুলতে সংসদ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল ইতিমধ্যেই তা বহুল ভাবে সমালোচিত। সংসদের সেই পদক্ষেপের পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন স্কুল গুলিতে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীরা পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করা শুরু করেছে। ছোঁয়াচে রোগের মতই এই অন্যায় প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থিদের মধ্যে। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন অভিভাবকরাও। বিশেষজ্ঞদের মতে সাংসদের এই পদক্ষেপকে ভিত্তি করেই কার্যত রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। এই রকম অবস্থায় সংসদের প্রশংসা করে, শিক্ষামন্ত্রী কি পক্ষান্তরে সংসদের সেই বিতর্কিত পদ্ধতির সমর্থন করলেন না? বিভিন্ন মহল থেকে এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।

Updated By: Dec 20, 2012, 09:53 PM IST

সন্তোষপুরে স্কুল ঘেরাও কাণ্ডে সংসদকে ক্লিনচিট দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন সংসদ যে পদ্ধতিতে ঘেরাও তুলেছে তা প্রশংসাযোগ্য। শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘেরাও তুলতে সংসদ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল ইতিমধ্যেই তা বহুল ভাবে সমালোচিত। সংসদের সেই পদক্ষেপের পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন স্কুল গুলিতে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীরা পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করা শুরু করেছে। ছোঁয়াচে রোগের মতই এই অন্যায় প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থিদের মধ্যে। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন অভিভাবকরাও। বিশেষজ্ঞদের মতে সাংসদের এই পদক্ষেপকে ভিত্তি করেই কার্যত রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। এই রকম অবস্থায় সংসদের প্রশংসা করে, শিক্ষামন্ত্রী কি পক্ষান্তরে সংসদের সেই বিতর্কিত পদ্ধতির সমর্থন করলেন না? বিভিন্ন মহল থেকে এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে কলকাতা থেকে জেলা, সন্তোষপুর স্কুলকাণ্ডের জেরে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে আজও। অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাস করানোর দাবিতে শিক্ষিকাদের হুমকি দেওয়া উত্তর কলকাতার একটি স্কুলে।  বিক্ষোভের জেরে সরশুনার একটি স্কুলে অকৃতকার্যদের পাস করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাস করানোর দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে জেলার স্কুলেও। অনেকক্ষেত্রেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অভিভাবকেরাও।
রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এখন ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল। দাবি একটাই, ফেল করানো চলবে না। ফের নিতে হবে পরীক্ষা। উত্তর কলকাতার  দশ নম্বর নলীন সরকার স্ট্রিটের নারী শিক্ষা মন্দির। উচ্চ মাধ্যমিক টেস্টে বারোজন অকৃতকার্য ছাত্রীকে পাশ করানোর দাবিতে  বৃহস্পতিবার স্কুলে তালা ঝোলানোর হুমকি দেয় অকৃতকার্য ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।
বেহালার সরশুনা বাসুদেবপুর স্কুল। ফেল করা ছাত্র ও তাদের  অভিভাবকদের বিক্ষোভ,হুমকিতে রীতিমত উত্তপ্ত স্কুলের পরিবেশ।  ছাত্র এবং অভিভাবকদের চাপের কাছে  শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। অনুত্তীর্ণ ১৯জন ছাত্রকেই শেষে পাস করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  
পাস করানোর দাবিতে বালুরঘাটের নদীপাড় উচ্চবালিকা বিদ্যালয়  স্কুলে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখায় উচ্চমাধ্যমিক টেস্টে অকৃতকার্য ২৪ জন ছাত্রী। স্কুলে চড়াও হন অভিভাবকরাও। পাস করানোর দাবিতে তালাবন্দী করে রেখে দেওয়া হয় শিক্ষিকাদের।  পরে বালুরঘাট থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষিকাদের ঘেরাওমুক্ত করে।
পাসের দাবিতে হুগলির গুপ্তিপাড়া গার্লস স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় অকৃতকার্য ছাত্রীরা। ঘেরাও করা হয় শিক্ষিকাদের। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘেরাওমুক্ত করে শিক্ষিকাদের।

.