পল্টুর জয়ে মিরাটি গ্রামে দুর্গাপুজোর আমেজ

নাচ, গান ঢাকের শব্দে মুখরিত মিরাটি গ্রাম। ঘরের ছেলে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল উতসব। উতসবের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণববাবুর জয়লাভের খবর চাউর হতেই।

Updated By: Jul 22, 2012, 10:14 PM IST

নাচ, গান ঢাকের শব্দে মুখরিত মিরাটি গ্রাম।  ঘরের ছেলে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই  শুরু হয়েছিল উতসব। উতসবের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণববাবুর জয়লাভের খবর চাউর হতেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে যাবতীয় বিবাদ, বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে এখন শুধুই রাইসিনা হিলসে প্রণববাবুর পা রাখার অপেক্ষায় মিরাটি গ্রামের মানুষ।    
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া আগে একবার নিজের গ্রামে ঘুরে গিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কুলদেবতার পুজো করে দিদির আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সেদিন থেকেই উত্সবের প্রস্তুতি শুরু। আর তা চূড়ান্ত রূপ পেল প্রণববাবুর রাষ্ট্রপতি হওয়ার ঘোষণায়। পঁচিশে জুলাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন প্রণববাবু। রবিবার থেকে যে উত্সব শুরু করল মিরাটির মানুষ। পঁচিশ তারিখ পর্যন্ত সেই উতসব চালিয়ে যাবেন তাঁরা। উত্সবের মেজাজ প্রণববাবুর বাড়িতেও। দেশের প্রথম নাগরিক হওয়ার লড়াই জেতার পর রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পৌঁছনো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ছোটভাইয়ের এই সাফল্যের শীর্ষে ওঠার দিনটিতে মিরাটির বাড়িতে টিভির পর্দায় চোখ রেখে বসে ছিলেন তাঁর দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়। উচ্ছ্বাসের মধ্যেই ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন শৈশবের কথা, অতীতের কথা।
 
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সদ্য জয়ী ছোটভাইয়ের কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথাও শুনিয়েছেন দাদা। শুভেচ্ছা নয়, দেশবাসীর জন্য ভালোভাবে কাজ করার জন্য ভাইকে আশীর্বাদ করেছেন দাদা। সারাজীবন নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও কখনই ভোলেনি পরিবারের সদস্যদের। প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যেও খোঁজ নিয়েছেন তাঁদের। চরম আনন্দের মধ্যেও সেসব কথাই বারবার মনে পড়ছিল পীযূষবাবুর। রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রণববাবুর শপথের দিন রাইসিনা হিলে হাজির থাকতে পারবেন না তাঁর দাদা। তবে কিছু দিনের মধ্যেই ভাইয়ের নতুন বাসস্থানে ঘুরে আসার ইচ্ছে আছে দাদার। আনন্দে আত্মহারা বৌদি মঞ্জু মুখোপাধ্যায়। শারিরীক অসুস্থতা ভুলে মেতে উঠেছেন উত্‍সবে।
 

.