সেবার আড়ালেই চলত শিশু কেনাবেচার জমাটি ব্যবসা
সেবার আড়ালে শিশু কেনাবেচার জমাটি ব্যবসা। কেউ কিছুই জানত না। এলাকাবাসী জানত না। পঞ্চায়েত জানত না। এমনকি, অপরাধীর আত্মীয়ও জানতেন না। মসলন্দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সামনে নিয়ে আসছে একরাশ জিজ্ঞাসা।
ওয়েব ডেস্ক: সেবার আড়ালে শিশু কেনাবেচার জমাটি ব্যবসা। কেউ কিছুই জানত না। এলাকাবাসী জানত না। পঞ্চায়েত জানত না। এমনকি, অপরাধীর আত্মীয়ও জানতেন না। মসলন্দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সামনে নিয়ে আসছে একরাশ জিজ্ঞাসা।
সদ্য খোঁড়া গর্ত। সদ্যোজাতের কবরখানা। সেবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাক ইয়ার্ডে ঘৃণ্য বেসাতির ইতিবৃত্ত। মসলন্দপুরের সুজিত দত্ত মেমোরিয়াল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারের এটাই আসল ছবি। জেনেও জানতেন না এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে অর্গানিক মাছ এবং সবজি
দুহাজার পনেরোয় পারিবারিক জমিতেই ব্যবসা ফাঁদেন উত্পলা ব্যাপারি ও সঙ্গী সত্যজিত। এলাকাবাসী কী জানতেন? সেবার সংস্থা। ভাল ভাল কাজ করে। তার আড়ালে কী হত, তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কিন্তু, এতদিন কেউ কিছুই বোঝেননি। সন্দেহের অবকাশ অবশ্য ছিল। তবু কেউ সন্দেহ করেননি। পাশেই উত্পলার দিদির বাড়ি। তিনিও কিছু বোঝেননি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত। তাদের কী বক্তব্য?
কী আশ্চর্য? NGO খুলতে গেলে তো স্থানীয় পঞ্চায়েতের সম্মতি লাগে। বিনা অনুমতিতেই বাড়ি হল, রাস্তায় আলো হল, স্কুল চলল, আর স্থানীয় পঞ্চায়েত চোখ বুজে রইল? অসাধু NGO নিয়ে কেন সন্দেহ হয়নি মসলন্দপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির? এটা গাফিলতি নাকি বোঝাপড়া করে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ বুঝে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি? রাজ্যের গ্রামে গ্রামে কি এভাবেই চলছে সেবার আড়ালে অসাধু কারবারের NGO গুলি? প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, শিশুর বেসাতি নিয়ে যা সামনে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই দুষ্টচক্রের শিকড় কত গভীরে কেউ জানে না।
আরও পড়ুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক!