রেলপুলিসের হাত থেকে তদন্তভার গেল সিআইডি-র হাতে, এখনও কিনারা হল না অনিরুদ্ধ চেল মৃত্যু রহস্যের
কেটে গেছে আট বছর। রেল পুলিসের হাত থেকে তদন্ত গেছে সিআইডির হাতে। তবু পুরুলিয়ায় চিকিতসক অনিরুদ্ধ চেলের মৃত্যু রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। অনিরুদ্ধের চেলের পরিবার এবার তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। দুহাজার ছয়ের একুশে ফেব্রুয়ারি বোকারো থেকে পুরুলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন ডাক্তার অনিরুদ্ধ চেল। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হয়নি। ভোরবেলায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় গৌরীনাথধাম স্টেশনের কাছে রেললাইনে। একটি দুমরে মুচরে যাওয়া গাড়ির মধ্যে মেলে মৃতদেহ। জিআরপি তদন্তে বলা হয় মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা ।
কেটে গেছে আট বছর। রেল পুলিসের হাত থেকে তদন্ত গেছে সিআইডির হাতে। তবু পুরুলিয়ায় চিকিতসক অনিরুদ্ধ চেলের মৃত্যু রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। অনিরুদ্ধের চেলের পরিবার এবার তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। দুহাজার ছয়ের একুশে ফেব্রুয়ারি বোকারো থেকে পুরুলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন ডাক্তার অনিরুদ্ধ চেল। কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হয়নি। ভোরবেলায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় গৌরীনাথধাম স্টেশনের কাছে রেললাইনে। একটি দুমরে মুচরে যাওয়া গাড়ির মধ্যে মেলে মৃতদেহ। জিআরপি তদন্তে বলা হয় মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা । কিন্তু প্রশ্ন ওঠে রাস্তা ছেড়ে গাড়ি কীভাবে রেল লাইনে এল। কাছাকাছি কোনও রেল ক্রশিংও নেই। পরিজনদের দাবি, দুর্ঘটনা নয় অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে অনিরুদ্ধ চেলকে। পরে মৃতদেহ সহ গাড়িটি রেললাইনে রেখে আসে দুষ্কৃতীরা।
প্রশ্ন উঠেছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের ময়নতদন্তের রিপোর্ট ঘিরেও। পুরুলিয়া হাসপাতালের রিপোর্ট দুর্ঘটনার পক্ষে মত দিলেও এসএসকেএম হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অরুণ গুপ্তা--ঘটনাটিকে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। এরপরেই নতুন করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় পুরুলিয়া আদালত। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। গ্রেফতারও হয় কয়েক জন। কিন্তু ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারেও উদাসীনতা দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
বিচার চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান অনিরুদ্ধ চেলের স্ত্রী। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। রাজ্য সরকারে ভরসা হারিয়ে পরিজনরা এখন সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন।