বীরভূম, বর্ধমানে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রীর
জেলাসফরের শেষদিনে আজ বীরভূম ও বর্ধমানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার উন্নয়ন ছাড়াও কৃষি, শিল্প, বিদ্যুত্-এর মতো ইস্যুগুলি বৈঠকে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুদিনের জেলা সফরে বীরভূম ও বর্ধমানে একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণবঙ্গের এই দুই জেলাতেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও কৃষকদের সুযোগ সুবিধার দিকে নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে একশ দিনের কাজ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের উপরেও। তবে দুই জেলাতেই বামফ্রন্টের দখলে থাকা জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা ডাক না পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বীরভূম ও বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। বীরভূমের বৈঠকের শেষ সাংবাদিকদের তিনি জানান স্বাস্থ্য শিক্ষা, রাস্তাঘাট, পানীয়জল ও সেচপ্রকল্পের মত একাধিক বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে জেলার ধান ও আলু চাষিদের সুযোগসুবিধার দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারের কালোবাজারি ঠেকাতে প্রশাসন ক়ড়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে বর্ধমান পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও প্রশাসনের কাজে গতি আনার দিকে বাড়তি জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমরে বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সরকারি আমলারা ছাড়াও হাজির ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে ডাক পাননি বোলপুরের সিপিআইএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকেও ডাক পাননি কোনও বামপন্থী বিধায়ক, সাংসদ বা জেলা সভাধিপতি।
দুই জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।