বড়জোড়া কয়লাখনি, আন্দোলনে গ্রামবাসীরা
গত ১৩ এপ্রিল বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় ট্রান্স দামোদর কয়লাখনির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খনি তৈরির সময় সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, বড়জোড়া ব্লকের জমাদারগ্রাম, কৃষ্ণনগর, পাহাড়পুর সহ মোট ১২টি গ্রামের ৬৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করবে কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা।
গত ১৩ এপ্রিল বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় ট্রান্স দামোদর কয়লাখনির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খনি তৈরির সময় সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, বড়জোড়া ব্লকের জমাদারগ্রাম, কৃষ্ণনগর, পাহাড়পুর সহ মোট ১২টি গ্রামের ৬৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করবে কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা। কিন্তু কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হলেও মাত্র ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সংস্থাটি। জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের কথা থাকলেও কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।
দিনের পর দিন কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে কয়লাখনির জমা দূষিত জল মাঠে চলে আসায় ক্ষতি হচ্ছে ধান চাষেরও। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকার সব কিছু জেনেও নির্বিকার বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ এনে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।