`সন্ত্রাস` ইস্যুতে সমুখ সমরে কংগ্রেস-তৃণমূল
রাজ্যে সন্ত্রাস এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে এই অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামছে কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের হাতে অধিক ক্ষমতার দাবিতে ২০ নভেম্বর পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
রাজ্যে সন্ত্রাস এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে এই অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামছে কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের হাতে অধিক ক্ষমতার দাবিতে ২০ নভেম্বর পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। পাশাপাশি আজ মৌসম বেনজির নূরের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসের মৌন মিছিলে জনানো হবে `তৃণমূলের সন্ত্রাস`-এর প্রতিবাদ। প্রত্যাশিত ভাবেই পালটা আঘাত এসেছে তৃণমূলের তরফেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে `কড়া চিঠি` লিখে অবিলম্বে `কংগ্রেসের সন্ত্রাস` বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়।
জোট গড়ে সরকার গড়ার ৬ মাসের মধ্যেই তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কংগ্রেসের পথে নামার ঘটনাকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মনে করা হচ্ছে, আগামী রবিবার পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এই কংগ্রেস নেতাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নূরের নেতৃত্বে মৌন মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। যুব কংগ্রেসের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সারা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা যেভাবে দিনের পর দিন রাজনৈতিক হিংসা ছড়াচ্ছে এবং কংগ্রেস কর্মীদের উপর যেভাবে অকথ্য অত্যাচার ও বর্বরোচিত কাজ চলছে, তার প্রতিবাদেই এই মৌন মিছিল। শুধু মৌসম নূরই নন ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের সর্ব স্তরের নেতারাই।
প্রত্যাশিত ভাবেই কংগ্রেসের এই আন্দোলন ঘিরে শুরু হয়েছে দুদলের চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে চিঠি লিখে মালদায় তৃণমূল কর্মী খুনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের পালটা অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মুকুল রায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে এই `কড়া চিঠি` দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানান হয়েছে। চিঠিতে মালদার সাম্প্রতিক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে অভিযোগ জানানো হয়েছে, রাজ্যের অনেক জায়গায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের হাতে তৃণমূল সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিঠিতে কংগ্রেসের কাছে সন্ত্রাস বন্ধ করার দাবিও জানানো হয়েছে। হিংসা বন্ধে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে, বিষয়টি অন্য মাত্রা পাবে বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। প্রদীপ ভট্টাচার্য চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন। প্রদেশ নেতৃত্ব চিঠির উত্তর দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে তৃণমূলের হাতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ জানান রাজ্য য়ুব কংগ্রেস সভানেত্রী কংগ্রেস নেত্রী মৌসম বেনজির নূর। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে একাধিকবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যে নতুন করে তৃণমূলের চিঠিতে দুই শাসকদলের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়ল।