অধীরগড়ে দাঁত ফোটাতে পারল না শাসক
সারা দেশেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না দলের। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটে খানিকটা দাগ কাটল কংগ্রেস। তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও জেলার ৫ টি পুরসভা দখল করেছে তারা। মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কলকাতা পুরসভায় কংগ্রেস নামমাত্র আসন পেলেও, জয় এসেছে জোড়াফুলের হেভিওয়েটকে হারিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক:সারা দেশেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না দলের। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটে খানিকটা দাগ কাটল কংগ্রেস। তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও জেলার ৫ টি পুরসভা দখল করেছে তারা। মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কলকাতা পুরসভায় কংগ্রেস নামমাত্র আসন পেলেও, জয় এসেছে জোড়াফুলের হেভিওয়েটকে হারিয়ে।
সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও ধুঁকছে কংগ্রেস। ভোটবাক্সে খরা। দলে ভাঙন। গোষ্ঠী কোন্দল। বাংলায় সাইনবোর্ড হয়ে যাবে পাঞ্জার জোর। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল এমন মস্করা। ঠিক এমনই একটা কঠিন পরিস্থিতিতে পুরভোটে নিজেদের গুরুত্ব বজায় রাখল কংগ্রেস। সংখ্যার বিচারে প্রাপ্তিটা আহামরি কিছু নয়। কিন্তু গুরুত্বের বিচারে কম নম্বর পেয়েও প্রাসঙ্গিক হয়ে রইল হাতের জোর।
মুর্শিদাবাদের কথাই ধরা যাক। অধীরদুর্গে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল। নবাবের তালুকে যিনি বরাবর পাঞ্জার জোর ধরে রাখতেন, সেই মান্নান হোসেনকেও ভাঙিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু পুরভোটের ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই মান্নান ফ্যাক্টর। মুর্শিদাবাদে ২টিতে জিতল কংগ্রেস।
১৬ ওয়ার্ডের মুর্শিদাবাদ পুরসভায় কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১০টি আসন। ১৮ ওয়ার্ডের কান্দি পুরসভায় কংগ্রেসের প্রাপ্তি ১৩টি ওয়ার্ড। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে ধুলিয়ান ও বেলডাঙা পুরসভা। ২ টিতেই বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা কংগ্রেসের দিকেই ভারী।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভাও গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ১৭ ওয়ার্ডের কালিয়াগঞ্জ পুরসভায় তৃণমূলের প্রাপ্তি শূন্য। কংগ্রেস সেখানে ১৫। ইসলামপুরে ১০টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভাও গিয়েছে হাতের দখলে।
কলকাতা পুরসভা
১৪৪ ওয়ার্ডের কলকাতা কর্পোরেশনে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৫টি । সংখ্যাটা নগণ্য। কিন্তু লড়াইটা সহজ ছিল না। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ উপাধ্যায়কে ঠেকাতে দলের ডাকসাইটে বিধায়ক পরেশ পালকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু হারতে হয়েছে পরেশ পালকে। কলকাতায় তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক।
অস্তিত্ব সঙ্কট কাটিয়ে দলের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনতে জোরকদমে মাঠে নেমেছেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের জমিবিলের বিরোধিতায় মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। সেই সময় বাংলার পুরভোটে কংগ্রেসের ফাইট হয়তো খানিক স্বস্তি দেবে দলকে।