এনসেফ্যালাইটিসে স্বজন হারানোর শোকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তায় ঈদ উত্তরবঙ্গে
খুশির ইদে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তায় উজ্জ্বল উত্তরবঙ্গের পথঘাট। কিন্তু, এনসেফ্যালাইটিসের আতঙ্কে মুখের হাসি মিলিয়েছে মানুষের। এবারের খুশির ইদ তাঁদের কাছে দুঃখের, স্বজন হারানোর।
মহামিলনের দিনেও সব হারানোর বেদনাই ঘিরে রয়েছে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহারের মানুষদের। সারা বিশ্ব খুশির ঈদে মাতোয়ারা। তবে, উত্তরবঙ্গের বহু পরিবারে শোকের ছায়া। মারণ জ্বরে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন অনেকে। অনেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কোচবিহারের আকিতুন বিবি। গত শনিবার নিজের বড় মেয়ে সাইবা খাতুনকে ভর্তি করিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। জ্বরে কাহিল মেয়ে। ঘরে অনটন। ঈদ ভুলে মেডিক্যাল কলেজেই এখন আকিতুনের ঘরবাড়ি।
ধূপগুড়ির বাসিন্দা মহম্মদ সাদিক। অভাবের সংসার। তাই শিলিগুড়িতে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে মা মর্জিনা খাতুনের চিকিত্সা করাতে হচ্ছে। মা ছাড়া ঈদের খুশি মাটি। তাই হাসি মিলিয়েছে পরিবারের। উত্তরবঙ্গের রাস্তায় বড় বড় হোর্ডিং। খুশির ঈদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে। কিন্তু কোথায় খুশি! উত্তরবঙ্গ জুড়ে দুঃখের আবহ। ঈদের খুশিতে থাবা বসিয়েছে মারণ এনসেফ্যালাইটিস। সাইবা খাতুন, মর্জিনা খাতুনের মতোই পম্পা খাতুন, সাদিক রহমানরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ঈদের শুভ দিনেই মারণ জ্বরের সঙ্গে লড়তে লড়তে প্রাণ হারিয়েছে কোচবিহারের বছর তেরোর রহিনা খাতুন।