বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু, হুঁশ নেই বনদফতরের

বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু  বাঁকুড়াতে। হুঁশ নেই বনদফতরের।  হাতির হানা আটকাতে বিদ্যুত্‍বাহী তার দিয়ে জমি ঘিরছেন চাষিরা । এই তারই এখন হাতির মরণফাঁদ।

Updated By: Jan 31, 2016, 04:27 PM IST
বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু, হুঁশ নেই বনদফতরের

ব্যুরো: বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু  বাঁকুড়াতে। হুঁশ নেই বনদফতরের।  হাতির হানা আটকাতে বিদ্যুত্‍বাহী তার দিয়ে জমি ঘিরছেন চাষিরা । এই তারই এখন হাতির মরণফাঁদ।

গত দশ দিনে বাঁকুড়াতেই পাঁচটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই হাতিগুলির  মৃত্যু হয়েছে তড়িদাহত হয়ে।

২১ জানুয়ারি সোনামুখির অনন্তবাটিতেটে ১ টি হাতির মৃত্যু।
২৬ জানুয়ারি বেলিয়াতোড়ের নবাসানে ১ টি হাতির মৃত্যু।
২৭ জানুয়ারি সোনামুখির নারায়ণসুন্দরী গ্রামে ২ টি হাতির মৃত্যু।
৩১ জানুয়ারি বড়জোড়ার লালবাজার গ্রামে ১ টি হাতির মৃত্যু।

বিষ্ণুপুর, জয়পুর, সোনামুখি, বড়জোড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার ষাটটি হাতি। জঙ্গল ছেড়ে খাবারের সন্ধানে প্রায় প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে চাষের জমিতে। এই সময়টায়  ছোটছোট জমি ধরে চাষিরা শীতের সবজি, কুমড়ো চাষ করেন। হাতির পাল তছনছ করছে খেতের এই সবজি।   মাঠে ভর্তি আলু।  পা দিয়ে মাটি তুলে দিয়ে নিমেষে বিঘের পর বিঘে জমির আলু নিঃশেষ করছে হস্তি বাহিনী। জঙ্গলে খাবারে টান পড়ায় রোজই চাষের জমিতে হাতির হানা লেগেই রয়েছে। হুলা পার্টি দিয়েও জমি আগলাতে পারছেন না চাষীরা।  এবার  তাই  বিদ্যুতের  তারকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা । জমি ঘিরে দেওয়া হচ্ছে  বিদ্যুত্‍ এর তার দিয়ে । আর বুঝতে না পেরে একের পর এক হাতি মারা যাচ্ছে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ঠ হয়ে।

তবে বাঁকুড়ায় এই  চল আগে ছিল না। উত্তরবঙ্গের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ঠ হয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা নানা সময় শোনা গেলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমনটা হত না। এবার হাতি আটকাতে বিদ্যুত্‍ তারের ব্যবহার বাঁকুড়াতেও।

.