পাড়ুইয়ে গ্রেফতার আরও ৫, এখনও সঙ্কটে ওসি
রাতভর তল্লাসি চালিয়ে পারুইয়ে পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতরা হল শেখ বাবর আলি, শেখ নাসিরুদ্দিন, শেখ নবীন নওয়াজ, নামুন্নিসা বিবি, নমিনা বিবি। ধৃতেরা বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল। রাতভর চৌমণ্ডলপুর, রাঘাইপুর, সাততোড় গ্রামে তল্লাসি চালায় র্যাফ,কমব্যাট ফোর্স ও বীরভূম জেলা পুলিসের একটি দল। এরপরই চৌমণ্ডলপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় নমিনা বিবিকে।
পাড়ুই: রাতভর তল্লাসি চালিয়ে পারুইয়ে পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতরা হল শেখ বাবর আলি, শেখ নাসিরুদ্দিন, শেখ নবীন নওয়াজ, নামুন্নিসা বিবি, নমিনা বিবি। ধৃতেরা বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল। রাতভর চৌমণ্ডলপুর, রাঘাইপুর, সাততোড় গ্রামে তল্লাসি চালায় র্যাফ,কমব্যাট ফোর্স ও বীরভূম জেলা পুলিসের একটি দল। এরপরই চৌমণ্ডলপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় নমিনা বিবিকে।
চৌমণ্ডলপুর গ্রামে জারি করা হয়েছে একশো চুয়াল্লিশ ধারা। ধৃতেরা সকলেই বিজেপি সমর্থক বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আজ ধৃত পাঁচজনকে শিউড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের ৬ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে পুলিসের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত, দাঙ্গা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলা রুজু হয়েছে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনেও। গতকাল সারা রাত চৌমণ্ডলপুর ও সংলগ্ন গ্রাম ঘিরে চলে তল্লাসি। ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাসি চালানো হয়। এখনও অব্যাহত তল্লাসি অভিযান। মূল অভিযুক্ত সদাই শেখ এখনও ফেরার। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাসি। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, তাঁদের গ্রাম দখলের ছক কষেছিল তৃণমূল। ভাইফোঁটার দিন গ্রামে হামলার আশঙ্কায় বিস্ফোরক মজুদ করে রেখেছিলেন তাঁরা। সেই বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্যই গ্রামে হানা দিয়েছিলেন পারুই থানার ওসি প্রসেনজিত্ দত্ত। তল্লাসির নামে পুলিসি হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ চৌমণ্ডলপুরে যাবে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।