পেনশন বন্ধ হলেও রেওয়াজে খামতি নেই সলাবতের
সরকারি উদ্যোগে রাজ্যে পালিত হচ্ছে সংগীত মেলা। নামী শিল্পীদের সম্মানিত করছে সরকার। শিল্পীর জন্য পেনশনও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বাজেটে তথ্য ও সংস্কৃতি খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। অথচ এত উদ্যোগের মধ্যেও অবহেলিত লোকশিল্পীরা।
সরকারি উদ্যোগে রাজ্যে পালিত হচ্ছে সংগীত মেলা। নামী শিল্পীদের সম্মানিত করছে সরকার। শিল্পীর জন্য পেনশনও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বাজেটে তথ্য ও সংস্কৃতি খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। অথচ এত উদ্যোগের মধ্যেও অবহেলিত লোকশিল্পীরা। পুরুলিয়ার ঝুমুর শিল্পী সলাবত্ মাহাতো মাসে দেড় হাজার টাকা করে পেনশন পেতেন। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এ যেন প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। জাঁকজমক করে যেখানে শিল্পীদের সম্মানিত করা হচ্ছে, সেই রাজ্যেই অনাদরে অবহেলায় দিন গুজরান করছেন এক স্বীকৃত লোকশিল্পী। পুরুলিয়ার বরাবাজারের সলাবত্ মাহাত।
একাত্তর বছরের ঝুমুর শিল্পী এক চিলতে এই টালির ঘরে থাকেন। চৌকি জুড়ে বিছনো তাঁর সংসার। আগে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। ভিন রাজ্যে গিয়েও পরিবেশন করেছেন ঝুমুর গান। বয়সের ভারে এখন আর তা পারেন না। ১৯৯৬ সালে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার সলাবত্ মাহাতকে লালন পুরস্কারে সম্মানিত করে। পেয়েছেন আব্বাসউদ্দিন পুরস্কারও। সলাবত্ মাহাতর প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিতে মাসিক ১,৫০০ টাকা পেনশন চালু করেছিল পূর্বতন সরকার। কিন্তু রাজ্যে সরকার বদলের পর থেকে তাঁর সেই পেনশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কেন পেনশন বন্ধ হয়ে গেল তা জানেন না সলাবত্ মাহাত। প্রশ্ন করলে বলেন, টাকা দেওয়া না-দেওয়া তো সরকারের হাতে। বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। পেনশনের পরিমাণ ছিল সামান্যই। টানাটানির সংসারে সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে অনটন। তবু বন্ধ হয়নি রেওয়াজ।