লাভপুর কাণ্ড: রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা না রেখে বিচারবিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত, ধৃত ১৩ জনের পুলিসি হেফাজত।

লাভপুরকাণ্ডে ধৃত তেরো জনের এবার পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্তদের ছয়ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে আজ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় পুলিস। গতকাল কিন্তু ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়নি পুলিস। ফলে অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিসের এই ভূমিকার নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জেলা পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেন পুলিসকর্তারা।

Updated By: Jan 24, 2014, 09:44 PM IST

অবশেষে পুলিস হেফাজত-
লাভপুরকাণ্ডে ধৃত তেরো জনের এবার পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্তদের ছয়ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে আজ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় পুলিস। গতকাল কিন্তু ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়নি পুলিস। ফলে অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিসের এই ভূমিকার নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জেলা পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেন পুলিসকর্তারা।

নির্যাতিতার অবস্থা স্থিতিশীল-
লাভপুরের নির্যাতিতা তরুণীর অবস্থা স্থিতিশীল।তবে আরও কিছুদিন সিউড়ি সদর হাসপাতালেই রাখা হবে তাঁকে। জানালেন সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার অসিত বিশ্বাস। এদিকে আজ নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালে যান সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক অলোকেন্দু সেনগুপ্ত। সরকারের তরফে নির্যাতিতাকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানান তিনি।

বীরভূমে নতুন পুলিস সুপার-
বীরভূমের নতুন পুলিস সুপার হলেন অলোক রাজোরিয়া। আজই তিনি দায়িত্ব নিলেন।সি সুধাকরকে গতকালই পুলিস সুপারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সিউড়ি সদর হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা।

`রাজনৈতিক রঙ`, ইঙ্গিত তৃণমুলের-
লাভপুরের ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ থাকতে পারে। দাবি করলেন বীরভূম আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন। ঘটনার প্রতিবাদে আজমিছিল করা হয় গাঁওতা সমাজের পক্ষ থেকে। তাঁদের দাবি, খাপ পঞ্চায়েত বা ক্যাঙ্গারু কোর্টের মত ঘটনা আদিবাসী সমাজে ঘটে না।

অধীরের সমালোচনায় সরকার-
একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডের জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, রাজ্যে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণপ্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন তিনি।

সিপিআইএম প্রশ্ন সানাচ্ছে তৃণমূলের ভূমিকার-
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই ঘটছে লাভপুরের গণধর্ষণ কাণ্ড। এই অভিযোগ করলেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাট।লাভপুর গণধর্ষণকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে সাত দিনের মধ্যে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নজিরবিহীন এবং অভিনব। বললেন আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চ্যাটার্জি।

প্রশ্নে পুলিসের ভূমিকা, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী-
লাভপুরকাণ্ডে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। এতবড় ঘটনার পরও ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেই চায়নি পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হয় এই খবর। এরপরেই বীরভূমের পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এস পি হচ্ছেন অলোক রাজোরিয়া। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (পশ্চিম) ছিলেন। এদিকে, চাপে পড়ে দিনের শেষে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে ফের উদ্যোগী হয় পুলিস। আইজি পশ্চিমাঞ্চলকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিসের অবস্থান পরিবর্তন-
লাভপুরে আদিবাসী তরুণীর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতদের পুলিসি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানালেন সরকারি আইনজীবী। গতকাল ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে অস্বীকার করে পুলিস। সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধর্ষণ কাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে।

লাভপুরকাণ্ডের পর মুখ খুললেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়-
রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। লাভপুরকাণ্ডে ধৃতদের প্রথমে নিজেদের হেফাজতে না নেওয়ায় পুলিসের সমালোচনা করেছেন তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

Tags:
.