মমতার সফরের আগে পাহাড় ইস্যুতে সুর আরও নরম মোর্চার
পাহাড় ইস্যুতে আরও সুর নরম করল মোর্চা। গতকাল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে ফোন করেন মোর্চার বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী। এর আগে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রোশন গিরি। ২৩ অক্টোবর পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, আলোচনার পথ মসৃন করতেই এই ফোন। তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি দুপক্ষের কেউই।
পাহাড় ইস্যুতে আরও সুর নরম করল মোর্চা। গতকাল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে ফোন করেন মোর্চার বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী। এর আগে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রোশন গিরি। ২৩ অক্টোবর পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, আলোচনার পথ মসৃন করতেই এই ফোন। তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি দুপক্ষের কেউই।
পৃথক রাজ্যের দাবি আদায়ে মোর্চার ডাকা বনধে কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রেশনিং, যানবাহন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। রাজ্য সরকার-মোর্চা স্নায়ুযুদ্ধে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন বিমল-গুরুং রোশন গিরিরা। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মোর্চা নেতৃত্ব। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
পাহাড়ে যেতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। ফের অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হলে পাহাড়বাসীর সমর্থন যে তারা পাবেন না, তা স্পষ্টই বুঝতে পারছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। আর তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় না বসার ধনুকভাঙা পণ থেকে কার্যত সরেই আসতে হল কোণঠাসা মোর্চাকে। শনিবার, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে ফোন করেন মোর্চার বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, আলোচনার পথ প্রশস্ত করতেই ফোন। তবে ইঙ্গিতটা মিলেছিল আগেই, রোশন গিরির কথায়।
আগামী ২৩ অক্টোবর পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফর চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহী মোর্চা নেতৃত্ব। সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়ে দিল্লিতে দরবার করেছিল মোর্চা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনই ত্রিপাক্ষিকে বসতে রাজি নয় রাজ্য। দিল্লির তরফেও আনুষ্ঠানিকভাবে দিনক্ষণ জানানো হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অবস্থায় যে সুর নরম করতে হবে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন মোর্চা নেতৃত্ব। আর তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কোণঠাসা মোর্চা। যদিও টেলিফোনে যোগাযোগের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দুপক্ষই।