নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পাহাড়
জিটিএ নির্বাচন পর্বের শুরুতেই অশান্তির ঘটনা ঘটল পাহাড়ে। বিভিন্ন কেন্দ্রে অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে।
জিটিএ নির্বাচন পর্বের শুরুতেই অশান্তির ঘটনা ঘটল পাহাড়ে। বিভিন্ন কেন্দ্রে অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে। শনিবার কার্শিয়াংয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন সিপিআইএম নেতা সুরজ পাঠক। আটকানো হয় তৃণমূল প্রার্থীদেরও। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী রাজেন মুখিয়ার মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলে কার্শিয়াংয়ে মহকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে রেখেছেন মোর্চার কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, বিকেল তিনটের পর মনোনয়ন জমা দেন রাজেন মুখিয়া।
জিটিএ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। কার্শিয়াংয়ে জিটিএ নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিআইএম নেতা সুরজ পাঠক। সেসময় তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এঘটনায় অভিযোগ উঠেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মীদের দিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সুরজ পাঠক।
কার্শিয়াংয়ের পাঙ্খাবাড়ি রোডেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। চারজন তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে শনিবার একজনই মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। এক্ষেত্রেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে। পাহাড়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই বলে আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। এবার তাত্পর্যপূর্ণভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন প্রদেশ সভাপতি।
জিটিএ-র নির্বাচনকে নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জিটিএ নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের বিধি মানা হচ্ছে না। তার ওপর বর্ষাকালে নির্বাচন হওয়ায়, পাহাড়ের অনেক নাগরিকই এতে অংশ নিতে পারবেন না বলে অভিযোগ গোর্খা লিগের। পাঁচই জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।