আয়লাকে মনে করিয়ে রাজ্যেও তাণ্ডব দেখাল হুদহুদ, দীঘায় জলচ্ছ্বাস, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রাম

হুদহুদের প্রভাবে বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল জলোচ্ছাসে বাঁধ উপচে শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি, চাঁদপুর, জলদা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত।  আবহওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে আজ মাছ ধরতে যাননি সুন্দরবনের মত্‍স্যজীবীরা।

Updated By: Oct 12, 2014, 06:14 PM IST
আয়লাকে মনে করিয়ে রাজ্যেও তাণ্ডব দেখাল হুদহুদ, দীঘায় জলচ্ছ্বাস, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রাম

ওয়েব ডেস্ক: হুদহুদের প্রভাবে বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল জলোচ্ছাসে বাঁধ উপচে শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি, চাঁদপুর, জলদা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত।  আবহওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে আজ মাছ ধরতে যাননি সুন্দরবনের মত্‍স্যজীবীরা।
 
পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার দুপুরেই অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে হুদহুদ। ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে এরাজ্যেও।  রবিবার সকাল থেকেই  পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলে  উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। উপকূল অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এরাজ্যের উপকূলে ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটারের বেশি হবে না বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  

২০০৯ সালের আয়লার ক্ষত এখনও তাজা। তারই মধ্যে হুদহুদের চোখরাঙানিতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। গোসাবার একাধিক জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল ধরেছে। রবিবার মাছ ধরতে বেরোননি মত্‍স্যজীবীরা। শনিবারই মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে  প্রশাসন।

হুদহুদের জেরে শনিবার রাত থেকেই বঙ্গোপসাগরের জলস্তর বেড়েছে। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ সহ বিভিন্ন এলাকার উপকূলে বসবাসকারী মত্‍স্যজীবীদের পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

বিপর্যয় মোকাবিলায় শনিবারই খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।  আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিশেষ এই কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যেই একটি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।  আরও একটি টিমকে  প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর একাংশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।

.