সরকারি নির্মাণেও বেনিয়ম
মানা হচ্ছে না ফ্ল্যাই অ্যাশ ইট ব্যবহার নিয়ে সরকারি নির্দেশ। শুধু বেসরকারি নির্মাণ নয়, সরকারি নির্মাণ প্রকল্পেও মানা হচ্ছে না এই নির্দেশ। অভিযোগ বর্ধমান জেলার ফ্ল্যাই অ্যাশ ইট কারখানার মালিকদের। এর জেরে সঙ্কটের মুখে প্রায় চল্লিশটি কারখানা। সঙ্কট মোকাবিলায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন কারখানা মালিকরা।
বর্ধমান: মানা হচ্ছে না ফ্ল্যাই অ্যাশ ইট ব্যবহার নিয়ে সরকারি নির্দেশ। শুধু বেসরকারি নির্মাণ নয়, সরকারি নির্মাণ প্রকল্পেও মানা হচ্ছে না এই নির্দেশ। অভিযোগ বর্ধমান জেলার ফ্ল্যাই অ্যাশ ইট কারখানার মালিকদের। এর জেরে সঙ্কটের মুখে প্রায় চল্লিশটি কারখানা। সঙ্কট মোকাবিলায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন কারখানা মালিকরা।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের একশ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোন নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে ফ্লাই অ্যাশ থেকে তৈরি ইট। এমনকি সরকারি নির্মাণেও এধরনের ইট ব্যবহার বাধ্যতামূলক। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখন ফ্ল্যাই অ্যাশ ইট তৈরি হয় মোট একশো পঞ্চাশটি কারখানায়। এর মধ্যে চল্লিশটি কারখানা রয়েছে বর্ধমানে। বর্ধমানের ফ্লাই অ্যাশ ইট কারখানার মালিকদের অভিযোগ, এব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা না মেনে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে লাল ইট। এমনকি একই ঘটনা ঘটেছে সরকারি নির্মাণ প্রকল্পেও। ফলে সঙ্কটের মুখে পড়েছে কারখানাগুলি।
কারখানা মালিকদের দাবি, এবিষয়ে এমনকি মানা হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও। ইট বিক্রি না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। এর জেরে উদ্বিগ্ন কারখানা মালিকেরা। বিষয়টি নিয়ে একমাসের মধ্যে বৈঠক ডাকবেন বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের জেলাশাসক। সঙ্কট মোকাবিলায় এখন সরকারি হস্তক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে বর্ধমান জেলার ফ্ল্যাই আশ ইট কারখানার মালিকেরা।