জেলাপরিষদের আর্থিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ক্ষুব্ধ জয়রামের
নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা, এই দুই জেলা পরিষদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ফেরানোর নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ দাসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই দুই জেলাতেই উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। কয়েক মাস আগে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার এই দুই জেলার আর্থিক ক্ষমতা তুলে দেয় জেলাশাসকের হাতে।
নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা, এই দুই জেলা পরিষদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ফেরানোর নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ দাসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই দুই জেলাতেই উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। কয়েক মাস আগে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার এই দুই জেলার আর্থিক ক্ষমতা তুলে দেয় জেলাশাসকের হাতে। তার বিরুদ্ধে সরব হয় বামেরা। বৃহস্পতিবার সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে জয়রাম রমেশের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ফোনে রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা, এই দুই জেলা পরিষদের হাতে আর্থিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। উত্তরে, শুক্রবার জয়রাম রমেশের কড়া চিঠি পৌঁছেছে মহাকরণে। চিঠিতে পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ দাসকে তিনি লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী শ্রী ভি কিশোর চন্দ্র দেও আমাকে জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার জেলা পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং তা জেলাশাসকের হাতে দেওয়া হয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছে, এই দুই জেলায় সরকারি কাজকর্ম সম্পূর্ণ থমকে গিয়েছে। আমাদের দু`জনেরই মনে হয়, যে রাজনীতিই থাক না কেন, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করা অনভিপ্রেত। অনুগ্রহ করে আপনার মন্ত্রীকে এই বার্তাও দেবেন যে, যদি ওই জেলা পরিষদগুলি নিয়ম মেনে তাদের বাজেট পাস করিয়ে থাকে, তা হলে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।"
গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে যত অর্থ বরাদ্দ হয়, তার পুরোটাই খরচ হয় জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নির্বাচিত পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নয়, প্রকল্পের অর্থ খরচ হবে জেলাশাসকের মাধ্যমে। পঞ্চায়েতে দুর্নীতির ঠেকাতেই সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় বামেরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা--এই দুই জেলার সমস্ত আর্থিক ক্ষমতা জেলাশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় গোটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে ওই দুই জেলায়। সে কথাই সিপিআইএম প্রতিনিধিরা জানান কেন্দ্রীয় জয়রাম রমেশকে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।