লক্ষ্মণ শেঠের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করল হলদিয়া আদালত

মঙ্গলবার হলদিয়া আদালতে পেশ করা হল নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিআইএম নেতা ও তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠকে। এদিন আদালতে তোলা হয় অশোক গুড়িয়া ও প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক অমিয় সাহুকেও।

Updated By: Mar 20, 2012, 03:39 PM IST

মঙ্গলবার হলদিয়া আদালতে পেশ করা হল নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিআইএম নেতা ও তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠকে। এদিন আদালতে তোলা হয় অশোক গুড়িয়া ও প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক অমিয় সাহুকেও। ধৃত ৩ জনকেই ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতদের ৩ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রবিবার কলকাতায় সিআইডি-র সদর দফতরে নিয়ে আসার পর থেকে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করেও এখনও খুব বেশি তথ্য আদায় করতে পারেননি গোয়েন্দারা। সেই কারণেই ধৃতদের ফের ১০ দিনের জন্য  নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিআইডি। মঙ্গলবার এই মর্মে আদালতে আবেদন জানানো হলে ধৃতদের ৩ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক।  
অভিযুক্তরা ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বরের ঘটনায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে এদিন আদালতে জানিয়েছে সিআইডি। সিআইডি-র দাবি, ৪ নভেম্বরই কলাগাছিয়ার সিপিআইএম কার্যালয়ে একটি বৈঠকে, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির বিরুদ্ধে এই আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়ছিল। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হিসাবে পেশ করা হয়েছে লক্ষ্ণণ শেঠের গাড়ির লগবুকও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লক্ষণ শেঠ সহ অষ্টআশি জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। তবে লক্ষ্ণণ শেঠের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে যাওয়ার কোনও তথ্যপ্রমান এখনও পায়নি সিআইডি। ধৃতদের জেরা করে এবিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে এদিন আদালত চত্বরে এসে লক্ষণ শেঠের স্ত্রী তমালিকা শেঠ কিন্তু জানিয়েছেন অভিযুক্তদরে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার বিষয়ে তিনি যথেষ্ঠ আশাবাদী। তিনি বলেন, "সামনে নির্বাচন। তার আগে গঙ্গায় অনেক জল বয়ে যাবে। ঠিকঠাক ভাবে নির্বাচন হলে এখনও নন্দীগ্রামে বামফ্রন্টই ক্ষমতা পুনর্দখল করবে।"
 
মঙ্গলবার সিপিআইএম নেতা ও তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। আদালতে পেশ করার সময়ে লক্ষণ শেঠ, ও প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক অমিয় সাহুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানও হয়।
 

.