''মুখ্যমন্ত্রী বিভাজনের রাজনীতি করছেন''

ক্রমেই তীব্র আকার নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী-মোর্চা বিবাদ। একদিকে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানালেন জিটিএ `চুক্তি` অনুযায়ী তাঁরা লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করবেন। অন্যদিকে তাঁর এই দাবি নস্যাৎ করে মোর্চার তরফ থেকে জানানো হয়েছে জিটিএ চুক্তিতে এই রকম কোনও কিছুরই উল্লেখ নেই। মোর্চা নেতা রোশন গিরি সরাসরি জানালেন বিভাজনের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অপর মোর্চা নেতা বিনয় তামাং আরও আক্রমণত্মক ভঙ্গিতে জানিয়েছেন পাহাড়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে। এতে গোর্খাল্যান্ডের সম্প্রীতি নষ্ট হবে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন যে তীব্রতর হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব।

Updated By: Jan 31, 2013, 05:38 PM IST

ক্রমেই তীব্র আকার নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী-মোর্চা বিবাদ। একদিকে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানালেন জিটিএ `চুক্তি` অনুযায়ী তাঁরা লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করবেন। অন্যদিকে তাঁর এই দাবি নস্যাৎ করে মোর্চার তরফ থেকে জানানো হয়েছে জিটিএ চুক্তিতে এই রকম কোনও কিছুরই উল্লেখ নেই। মোর্চা নেতা রোশন গিরি সরাসরি জানালেন বিভাজনের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অপর মোর্চা নেতা বিনয় তামাং আরও আক্রমণত্মক ভঙ্গিতে জানিয়েছেন পাহাড়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে। এতে গোর্খাল্যান্ডের সম্প্রীতি নষ্ট হবে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন যে তীব্রতর হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব।
এ দিন শিলিগুড়িতে গোর্খাল্যান্ডের দাবি কার্যত খারিজ করে ফের বাংলার ও দেশের অখণ্ডতার ওপরেই জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে একইসঙ্গে মোর্চার সঙ্গে দূরত্ব কমানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "মোর্চা নেতৃত্বের মান-অভিমান হতেই পারে। পরে সেই অভিমান ভুলে যাবে তারা।" দার্জিলিঙ-এ উত্তরবং উৎসবের ঘটনাকে `ছোট ব্যাপার` বলে পাহাড়ের ক্ষোভকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জিটিএ চুক্তিতে রয়েছে লেপচা ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের কথা। আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চুক্তি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি হবে লেপচা ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল।
এখনই গুরুং-দের আন্দোলনের হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, পাহাড়ের ক্ষোভের আগুন আসলে অভিমান। শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি মোর্চাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ত্ব রক্ষার লড়াই। তাই সেই লড়াই চলতেই পারে। তবে রাজনৈতিক দাবি নিয়ে পাহাড় উত্তাল হলে মোকাবিলার রাস্তাও সরকার ভেবে রেখেছে জানালেন তিনি। কিছুটা হুমকির সুরে জানালেন ``কখনও নরম কখনও শক্ত হতে হয়। পর্যটন বন্ধ হলে খেতে পাবেন না।``
মুখে যাই বলুন না কেন, পাহাড়ের হাসি ধরে রাখা যে তার সরকারের সামনে সহজ কাজ হবে না তা নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণে, `রাফ` এবং `টাফ` হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

.