সুটিয়া গণধর্ষণ, প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক খুন

দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা, শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙা স্টেশনের ১ নম্বর স্টেশনের পাশে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে পিছন থেকে গুলি করা হয়।

Updated By: Jul 6, 2012, 09:58 AM IST

দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা, শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙা স্টেশনের ১ নম্বর স্টেশনের পাশে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে পিছন থেকে গুলি করা হয়। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। 
বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা। গোবরডাঙা স্টেশনে নেমে গাইঘাটার পাঁচপোতায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনের শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। আচমকাই স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপর কয়েকজন দুষ্কৃতী পিছন থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরুণবাবুকে গোবরাডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় বরুণবাবুর। ২০০০ সালে গাইঘাটার সুটিয়া গণধর্ষণের ঘটনার জেরে গঠিত প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক ছিলেন বরুণ বিশ্বাস। এরপরই তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবেদ ভট্টাচার্যের নির্দেশে ধরা পড়ে সুটিয়া কাণ্ডের ৬ মূল অভিযুক্ত-সুশান্ত চৌধুরি, বীরেশ্বর ঢালি, রমেশ মজুমদার, রিপন বিশ্বাস, অনিল বালা এবং নন্দন তরফদার। বিচারে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। অভিযুক্তদের দলবলের তরফে এর আগে বরুণবাবুকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারের খুনের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

.