মুড়ির চড়ুইভাতি
অবাক লাগলেও প্রতিবছর এই সময় মুড়ির চড়ুইভাতি উত্সবকে ঘিরে মেতে ওঠে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও প্রতিবছর দ্বারকেশ্বর নদের চরে বসে মুড়ি পরব। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার কেঞ্জাকুড়ায় পালিত হল মুড়ি পরব।
অবাক লাগলেও প্রতিবছর এই সময় মুড়ির চড়ুইভাতি উত্সবকে ঘিরে মেতে ওঠে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও প্রতিবছর দ্বারকেশ্বর নদের চরে বসে মুড়ি পরব। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার কেঞ্জাকুড়ায় পালিত হল মুড়ি পরব।
প্রতিবছরের মত এবছরও মাঘের শুরুতে মুড়ি চড়ুইভাতিতে মেতে উঠেছে বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীন গ্রাম কেঞ্জাকুড়া। উত্সবের মূল আকর্ষণ মুড়ি। নদীর চড়ে বসে মুড়ি দিয়েই দুপুরের খাওয়া সারেন হাজার হাজার মানুষ। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে দ্বারকেশ্বর নদের তীরের এই উত্সব।
দ্বারকেশ্বর নদের তীরে একটি প্রাচীন আশ্রম রয়েছে। কথিত আছে ওই আশ্রমে সংকীর্তন শুনতে আসতেন বহু মানুষ। রাতভর সংকীর্তন শুনে সকালের দিকে নদীর চরে বসে সবাই একসঙ্গে মুড়ি খেতেন। সেই অভ্যাসই এখন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে কেঞ্জাকুড়ার মানুষের কাছে। কয়েকশো বছর ধরে এ সময়ে এভাবেই এই উত্সবকে কেন্দ্র করে মিলনোত্সবে পরিণত হয় কেঞ্জাকুড়া।