পরিকল্পনা আছে! মেঘের আড়ালেই মুকুল
মুকুল রায়েরই দল। অথচ মুকুল রায়ই তাতে নেই। জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস এগোচ্ছে বকলমে। খোদ মুকুল রায়ের দাবি, তিনি এখনও তৃণমূল সাংসদ। কীসের এত গোপনীয়তা। কী পরিকল্পনা মুকুল রায়ের। দানা বাঁধছে জল্পনা।
ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়েরই দল। অথচ মুকুল রায়ই তাতে নেই। জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস এগোচ্ছে বকলমে। খোদ মুকুল রায়ের দাবি, তিনি এখনও তৃণমূল সাংসদ। কীসের এত গোপনীয়তা। কী পরিকল্পনা মুকুল রায়ের। দানা বাঁধছে জল্পনা।
বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের ধারনা এটাই মুকুল রায়ের নতুন দল। কিন্তু, প্রকাশ্য ঘোষণায় ঢাকঢাক-গুড়গুড়। গোটা বিষয়টি করা হয়েছে বকলমে।
প্রস্তাবিত নতুন দলের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে কোচবিহারের দিনহাটার থানাপাড়ায়। তৃণমূলকর্মী মনোজিত্ সাহাচৌধুরীর বাড়ির ঠিকানায় দলীয় দফতরের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেন এত গোপনীয়তা? রাজনৈতিক মহল বলছে, নির্বাচন কমিশনের নিয়মকানুন খুব ভালই বোঝেন তৃণমূলের এক সময়ের নম্বর টু।
মুকুল শিবিরের খবর, সম্মুখ সমরে না গিয়ে চোরাগোপ্তা আক্রমণেই ভরসা রাখছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ড। কী করতে পারেন তিনি? রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল রায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের প্রভাবিত করতে পারেন। মুকুল রায় সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। সারদা তাস ব্যবহারে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারেন মুকুল রায়।
মুকুল রায়কে ছাড়াই নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল।তাই দলের কাছে তিনি আর অপরিহার্য নন। কিন্তু, তাঁর গেরিলা আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে কী ভাবছে দল?
মুকুল কোনও ফ্যাক্টর হবে, একথা প্রকাশ্যে মানছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ভোট কাটার আশঙ্কায় জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল সূত্রে খবর, নতুন দলের নামে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে যেতে পারে তারা।